ডায়ালসিলেট ডেস্ক::সুনামগঞ্জে একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে সংসদে বিল তোলা হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি ‘সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বিল- ২০২০’ উত্থাপন করেন। পরে তা পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

এর আগে গত ২ মার্চ বিলটি মন্ত্রিসভায় চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। আইন পাসের মাধ্যমে এ বিশ্ববিদ্যালয়টি চালু হলে এটিসহ বিজ্ঞান প্রযুক্তি ও প্রকৌশল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা দাঁড়াবে ২০টিতে।

প্রস্তাবিত বিলটি অন্যান্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুসরণ করেই প্রণয়ন করা হয়েছে।

প্রস্তাবিত বিলে ৫৫টি ধারা রয়েছে। সংক্ষিপ্ত শিরোনাম, প্রবর্তন ও সংজ্ঞা ছাড়াও উল্লেখযোগ্য ধারাগুলোর মধ্যে ৯ ধারা চ্যান্সেলর, ১০-১১ ধারা ভাইস চ্যান্সেলর, ১২ ধারা প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর, ১৩ ধারা কোষাধ্যক্ষ, ১৮-২০ ধারা সিন্ডিকেট, ২১-২২ ধারা অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল, ২৯-৩০ ধারা অর্থ কমিটি সম্পর্কিত।

মন্ত্রিসভায় আইনের খসড়া অনুমোদনের সময়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেছিলেন, ‘এটা প্রধানমন্ত্রীর ইনিশিয়েটিভ। এই কনসেপ্টটা তার মাথা থেকে এসেছে যে, প্রত্যন্ত এলাকাতেও বিশ্ববিদ্যালয় থাকা দরকার। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে সুনামগঞ্জ জেলায় একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের লক্ষ্যে “সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন”-এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন প্রদান করা হয়।’

বিলটির উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নীতিগত সম্মতির পরিপ্রেক্ষিতে উচ্চশিক্ষার বিভিন্ন ক্ষেত্রে অগ্রসরমান বিশ্বের সঙ্গে সঙ্গতি রক্ষা ও সক্ষমতা অর্জনের জন্য এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এছাড়া জাতীয় পর্যায়ে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা বিশেষ করে, বিভিন্ন ক্ষেত্রে আধুনিক জ্ঞানচর্চা এবং পঠন-পাঠনের সুযোগ সৃষ্টি ও সম্প্রসারণের উদ্দেশ্যে এই বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *