ডায়ালসিলেট ডেস্ক:উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে সিলেট সিটি কর্পোরেশনে এবার যুক্ত হয়েছে “সড়ক সংস্কারক গাড়ি” (রোড মেইন্টেনেন্স ভেইক্যাল)। বিশ্ব ব্যাংকের সাহায্যপুষ্ট “মিউনিসিপাল গর্ভনেন্স এন্ড সার্ভিসেস প্রজেক্ট”-এমজিএসপি প্রকল্প হতে বরাদ্দ দেয়া হয় দ্রুত সময়ে সড়কের খানাখন্দ সংস্কারক আধুনিক এই গাড়িটি।
সড়কের খানাখন্দের কারণে চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে এমন তথ্য নিশ্চিতের ২০ মিনিটের মধ্যেই সিসিক সংস্কার কাজ করতে পারবে। বিশেষায়িত এই গাড়িটি দিয়ে রাস্তার গর্ত সংস্কার করা হবে ‘বিটুমিন ইমালশন’ আর পাথরের চিপস দিয়ে। সংস্কার কাজ এক বছরের মধ্যে নষ্ট হবে না।
সোমবার রাতে চৌহাট্টা-রিকাবিবাজর সড়কে পরিক্ষামূলকভাবে “সড়ক সংস্কারক গাড়ি” দিয়ে রাস্তার গর্ত সংস্কার করা হয়। তিনটি ধাপে সম্পন্ন হয় একটি সংস্কার কাজ। সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী পরীক্ষামূলক এই সংস্কার কাজ দেখে সন্তুষ্টি জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘দ্রুত এবং মান সম্পন্ন নাগরিক সেবা প্রদানে আমরা বদ্ধপরিকর। সেই লক্ষেই এমজিএসপি প্রকল্পের এই সড়ক সংস্কারক গাড়ি সিসিক বরাদ্দ পেয়েছে। আমরা এর সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত সিলেট নগরীর সকল সড়ককে খানাখন্দ মুক্ত রাখতে চাই।’
সিসিক মেয়র বলেন, ‘সিটি কর্পোরেশন এলাকায় চলমান উন্নয়ন কাজ দ্রুত শেষ করা হবে। নগরবাসীর চলাচল নির্বিঘ্ন করতে প্রত্যেকটি রাস্তাকে খানাখন্দ মুক্ত করা হবে। এর জন্য সিসিকের মেকানিক্যাল বিভাগের কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে।’
সিসিকের প্রধান প্রকৌশলী মো. নূর আজিজুর রহমান বলেন, ‘রাস্তায় তৈরি হওয়া ছোট আকারের যেকোনো গর্ত মাত্র ২০ মিনিটে সংস্কার করা সম্ভব “সড়ক সংস্কারক গাড়ি’র (রোড মেইন্টেনেন্স ভেইক্যাল) মাধ্যমে। মাত্র তিন জন কর্মীর দ্বারা ১২ থেকে ১৫ ফুট চওড়া যেকোনো রাস্তায় সংস্কার কাজে ব্যবহার করা যাবে এই গাড়িটি।
সিটি কর্পোরেশনের মেকানিক্যাল শাখার প্রধান তানভির আহমদ তামিম জানান, ‘ইতিমধ্যে পরক্ষিামূলক সংস্কার করা হয়েছে। এমজিএসপি প্রকল্পের সহকারী প্রকৌশলী (সার্ভিস) মো. ফরহাদ হোসেন বিশেষায়িত এই গাড়িটি পরিচালনায় দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষে সিসিকের ৬ কর্মীকে প্রশিক্ষণ প্রদান করছেন।’