আন্তর্জাতিক ডেস্ক::   চীনের একটি প্রতিষ্ঠান রক্তের প্লাজমা ব্যবহার করে করোনা ভাইরাস চিকিৎসায় সাফল্যের দাবি করেছে । দ্রুত চিকিৎসার নতুন এ পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছে চীনের একটি সরকারি হাসপাতাল।

রক্তের প্লাজমা পদ্ধতি ব্যবহার করে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়ে গেছেন এমন ব্যক্তির দেহ থেকে রক্তের প্লাজমা সংগ্রহ করে নতুন আক্রান্তদের দেহে তা ব্যবহার করা হচ্ছে। এ পর্যন্ত ১০ জন রোগীর ওপর এ পদ্ধতি প্রয়োগ করে ১২-২৪ ঘণ্টার মধ্যে সাফল্য পাওয়া গেছে। এটিকে বৈধ উপায় বলে আখ্যায়িত করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ।

চীনে নতুন করোনা ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮৭৩ জনে। করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৭২ হাজার ৪৩৬ জন। ইতিমধ্যে এ ভাইরাস অন্তত ২৬টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। নতুন এক গবেষণায় বলা হচ্ছে, ৮০ শতাংশ আক্রান্ত রোগীর ক্ষেত্রেই ঝুঁকি স্বল্পমাত্রায়। করোনাভাইরাস আতঙ্কে ঢাকায় চতুর্থ আইএসএসএফ  ইন্টারন্যাশনাল সলিডারিটি  ওয়ার্ল্ড  ‌র‌্যাঙ্কিং আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপস-২০২০স্থগিত হয়েছে।

করোনা ভাইরাসে নতুন চিকিৎসায় ১২ ঘণ্টায় সফলতা সম্পর্কে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একজন শীর্ষস্থানীয় বিশেষজ্ঞ বলেন, প্লাজমা ব্যবহার করে এই চিকিৎসার পরীক্ষা খুবই কার্যকর পদ্ধতি। সময়মতো রোগীর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে সর্বোচ্চে পৌঁছে দেয়া এখন খুব গুরুত্বপূর্ণ।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরুরি স্বাস্থ্যবিষয়ক কর্মসূচির প্রধান ড. মাইক রিয়ান বলেছেন, র‌্যাবিস এবং ডিপথেরিয়াসহ অন্যান্য সংক্রামক রোগের বিরুদ্ধে প্লাজমা পদ্ধতি প্রমাণিত হয়েছে কার্যকর ও জীবন রক্ষাকারী চিকিৎসা হিসেবে।

হাইপার ইমিউন গ্লোবিউলিন  আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ একজন ব্যক্তির দেহে এন্টিবডি ঘনীভূত করে। নতুন করে আক্রান্ত ব্যক্তির রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করতে দেয়া হয় এন্টিবডি। এটা দেয়া হলে কঠিন অবস্থা থেকে তারা বেঁচে উঠতে পারেন। তবে তা দিতে হবে উপযুক্ত সময়ে।

চীনের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের একটি বিবৃতিতে বলেছে, প্লাজমা পদ্ধতিতে ১২-২৪ ঘণ্টার মধ্যে ইতিবাচক ফল পাওয়া গেছে। এ পদ্ধতিতে আক্রান্ত ব্যক্তি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। প্রথমে রক্তের প্লাজমা নেয়া হয় গত ১ ফেব্রুয়ারি।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *