প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বাইরে বের না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সরকার এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আইইডিসিআর । তারপরও সিলেটে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা যাচ্ছে না।  বিশেষ করে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত সিলেট নগরী দেখে বোঝার উপায় নেই যে দেশ একটা ভয়াবহ সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।

এরই মাঝে নগরীর মদীনা মার্কেট, আম্বরখানা, লালবাজার ও বন্দরবাজারের মতো এলাকাগুলোতে মানুষের ভিড় লেগেই আছে। বিশেষ করে কাঁচাবাজারগুলোতে একে অন্যের ঘা ঘেষে দাঁড়িয়ে বাজার করছেন।  আবার অনেকের মধ্যে মাস্ক ব্যবহারসহ ন্যূনতম সতর্কতা অবলম্বন করছেন না।

এছাড়া ব্যস্ততম সড়কগুলোতে রীতিমতো যানজট লেগেই আছে। এ অবস্থায় সিলেটে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকির মাত্রা আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে। যানবাহনের পাশাপাশি, রিকশা, সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলছে। রাস্তার পাশের দোকানগুলোতেও রয়েছে মানুষের ভিড়। কেউই মানছেন না সামাজিক দূরত্ব। সিলেটে আক্রান্ত হয়েছেন চিকিৎসক,পুলিশ,র‌্যাব, সাংবাদিক,ব্যাক কর্মকর্তা , বিশেষ বাহিনীর সদস্য,ফায়ার সার্ভিস কর্মীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ।

এদিকে স্বাস্থ্য অধিদফতর সিলেট বিভাগীয় অফিসের সহকারি পরিচালক ডা. আনিসুর রহমানের দেখা তথ্য অনুযায়ী ৭ই জুন রোববার পর্যন্ত সিলেট বিভাগজুড়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৪৭৭ জন,ও ৩৪ মারা গেছেন জন এবং সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩৭৫জন ।

এদিকে করোনায় সিলেট বিভাগের মধ্যে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা রেকর্ড ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে সিলেট জেলায় মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৮৪৭ জন এবং মারা গেছেন ২৫ জন, সুনামগঞ্জ জেলায় মোট আক্রান্ত হয়েছেন ২৭০ জন, মারা গেছেন ৩ জন, হবিগঞ্জ জেলায় আক্রান্ত হয়েছেন ২০৮ জন ও মারা গেছেন ২ জন, এবং সর্বশেষ মৌলভীবাজার জেলায়  আক্রান্ত হয়েছেন ১৫২ জন এবং মারা গেছেন ৪ জন।এমতাবস্থায় চলতে থাকলে ভবিষ্যতে সিলেটবাসীর জন্য আরো ভয়াবহ বিপদের সম্মুখীন হতে হবে। জরুরী প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে না বের হই।নিজে সুস্থ থাকি দেশকে সুস্থ রাখি।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *