আজ ( ২১শে জুন ২০২০ইং) রবিবার বছরের দীর্ঘতম দিন, যা কর্কটক্রান্তি দিবস নামে পরিচিত। এই দীর্ঘতম দিনে যদি আকাশ মেঘমুক্ত থাকে তাহলে সারাদেশ থেকে আংশিক সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে। ঢাকার স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ২৩ মিনিটে সূর্যগ্রহণ শুরু হবে। দুপুর ১টা ১২ মিনিটে সূর্যগ্রহণের সর্বোচ্চ পর্যায় ও দুপুর ২টা ৫২ মিনিটে গ্রহণ শেষ হবে। এছাড়াও ময়মনসিংহে ১টা ১২ মিনিটে,চট্টগ্রামে ১টা ১৭ মিনিটে, সিলেটে ১ টা ১৬ মিনিটে,খুলনায় ১টা ৯ মিনিটে,বরিশালে ১ টা ১২ মিনিটে, রাজশাহীতে ১ টা ৬ মিনিটে,রংপুরে ১টা ৭ মিনিটে কেন্দ্রীয় সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে।

বাংলাদেশে আংশিক সূর্যগ্রহণ দেখা গেলেও উত্তর ভারত, পাকিস্তানের দক্ষিণ ভাগ, চীন, তাইওয়ান, মধ্য আফ্রিকা থেকে বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে। গ্রহণের সময় আকাশে যখন আগুনের চাকা দেখা যায়, তখন তাকে বলে বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ।

এদিকে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের পক্ষ থেকে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে চোখের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে বলে খালি চোখে সূর্যের দিকে না তাকাতে বলা হয়েছে। এক্ষেত্রে সোলার ফিল্টার বা ১৩ গ্রেডের ওয়েল্ডিং গ্লাস ব্যবহার করে পর্যবেক্ষণ করা যাবে বলে জানানো হয়। টেলিস্কোপ, বাইনোকুলার বা ক্যামেরা সরাসরি সূর্যের দিকে তাক করে গ্রহণ পর্যবেক্ষণ বা ছবি তোলা চোখের মারাত্মক ক্ষতির কারণ হবে। সোলার ফিল্টার ব্যবহার করে গ্রহণ পর্যবেক্ষণ বা ছবি তোলার উপদেশ দেয়া হয়।

জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ মুনীর চৌধুরী জানান, করোনা সংক্রমণের কারণে এবার তাদের প্রতিষ্ঠানে পর্যবেক্ষণ ক্যাম্প করা হচ্ছে না। তবে নিজস্ব স্টাফদের জন্য সীমিত পরিসরে আয়োজন থাকবে। ঢাকা থেকে পরবর্তী সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে আগামী ২০২২ সালের ২৫ অক্টোবর বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। গ্রহণ নিয়ে সমাজে অনেক ধরনের কুসংস্কার আছে।

ঐ সময়ে খেতে নেই, তৈরি করা খাবার ফেলে দিতে হয় ইত্যাদি। গ্রহণ দেখাও অনেকের কাছে নিষেধ। সূর্যকে গিলে ফেলা রাহুর ভয়ে এসব ব্যবস্থা নেওয়া হয়ে থাকে বলে জ্যোতিষীরা দাবী করেন। কিন্তু আজকের দিনে আমরা যখন পরিষ্কার বুঝতে পারি পৃথিবী ও সূর্যের মধ্যে চাঁদ এসে যাওয়ার ফলে গ্রহণ হচ্ছে, তাই নতুন জীবাণুর জন্ম, রশ্মির বেশি প্রভাব ইত্যাদি প্রশ্ন অবান্তর।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *