ডায়ালসিলেট ডেস্ক::চাঁদপুর থেকে প্রেমিকের সঙ্গে সাক্ষাত করতে ছুটে যেতেন নোয়াখালী। স্বপ্ন দেখছিলেন ঘর বাঁধার। কিন্তু হঠাৎ করেই বদলে যান প্রেমিক ইয়াসিন আরাফাত (২৬)। তাকে বিয়ের জন্য চাপ দেওয়ার কারণে চাঁদপুর থেকে নোয়াখালীতে ডেকে নিয়ে শাহনা (১৮) নামের এই তরুণীকে হত্যা করে আরাফাত।

গত ৩০শে সেপ্টেম্বর নোয়াখালী সদর উপজেলার নোয়ান্নই ইউনিয়নের করমুল্লাপুর গ্রামের বটতলার ডোবায় পাওয়া গেছে শাহানার লাশ। লাশটি বস্তার ভেতর গলাকাটা অবস্থায় ছিলো। হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে নিহতের প্রেমিক আরাফাত ও তার বন্ধু রাসেলকে বেগমগঞ্জ উপজেলার কেন্দুরবাগ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, মোবাইল ফোনে শাহানার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে গড়ে উঠেছিলো ইয়াছিন আরাফাতের। গত ২৯শে সেপ্টেম্বর ইয়াছিনের সঙ্গে দেখা করতে নোয়াখালী যান ওই তরুণী।
এসময় তাকে হত্যা করা হয়।

ওইদিন বিয়ের জন্য ইয়াছিনকে চাপ দেন শাহানা। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে ইয়াছিন ও তার সহযোগী মো. রাসেল কৌশলে শাহানাকে নোয়ান্নই ইউনিয়নের খন্দকার স’মিলের পেছনের একটি পরিত্যক্ত ভবনে নিয়ে গিয়ে হাত-পা বেঁধে গলা কেটে হত্যা করে। পরে শাহানার লাশ বস্তায় ঢুকিয়ে ডোবার মধ্যে ফেলে দেয়।

সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নবির হোসেন বলেন, হত্যা মামলার এই দুই আসামি আদালতে অপরাধ স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে।

শাহানা হত্যা মামলার আসামি ইয়াসিন আরাফাত বেগমগঞ্জ উপজেলার কেন্দুরবাগ গ্রামের জামাল উদ্দিনের ছেলে ও তার বন্ধু রাসেল ওই এলাকার চৌকিদার বাড়ির আবদুল মালেকের ছেলে। নিহত শাহানা চাঁদপুর জেলার পুরানবাজার গ্রামের শাহ আলমের মেয়ে।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *