জাতীয় ডেস্ক :: তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি বলেছেন, কোনো ধর্মের অনুভূতিতেই আঘাত দেয়া কখনই সমীচীন নয়। হযরত মোহাম্মদ (সা:) সম্পর্কে অবমাননাকর কোনো কিছু আমরা কোনো ভাবেই সমর্থন করি না করব না। অতীতেও এ ধরনের ধর্মীয় আঘাতের প্রতিবাদ করা হয়েছে। পাটগ্রামের ঘটনার ব্যাপারেও সরকার পদক্ষেপ নিয়েছে। এই ধরনের ন্যক্কারজনক ঘটনাও কোনোভাবে সমর্থনযোগ্য নয়। পৈশাচিক ঘটনা যারা ঘটিয়েছে, তাদেরকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে সরকার বদ্ধপরিকর।

খুলনা জেলার ডেপুটি কমিশনার মোহাম্মদ হেলাল হোসেনের সভাপতিত্বে  রবিবার দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে খুলনা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মুজিববর্ষ উপলক্ষে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির সমাপ্তি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

আইএমএফের প্রতিবেদন প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আইএমএফের প্রতিবেদনে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়নের প্রতিফলনে উপমহাদেশ জুড়ে তোলপাড় প্রশংসা হলেও দেশের যেসব গবেষণা সংস্থা নীরব রয়েছে, ছিটেফোঁটা নেতিবাচক রিপোর্টেই তাদের উচ্চকণ্ঠ হতে দেখা যায়। আইএমএফের সাম্প্রতিক প্রতিবেদন ও এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী এ বছর বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হবে বিশ্বের গুটিকতক ভালো প্রবৃদ্ধির দেশের অন্যতম।

আইএমএফ বলছে, এ বছরের শেষান্তে আমাদের মাথাপিছু আয় ভারতকেও ছাড়িয়ে যাবে। এই প্রতিবেদন প্রকাশে পুরো উপমহাদেশ প্রশংসায় তোলপাড়। ভারতের সমস্ত গণমাধ্যমে, রাজনৈতিক সভা-সমিতিতে, বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে এ নিয়ে আলোচনা ও প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা হচ্ছে। শুধু ভারতে নয়, পাকিস্তানেও একই ঘটনা। পাকিস্তানে কোনো কোনো টেলিভিশনে আবার নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকার জন্য বলছে ‘আমাদের ভায়েরা এগিয়ে যাচ্ছে’। সব মিলিয়ে ভারত-পাকিস্তানে তোলপাড় পড়ে গেছে।

মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে যারা অর্থনৈতিক সমীক্ষা নিয়ে কাজ করেন, অর্থনীতি নিয়ে গবেষণা করেন, তাদের মুখে আমরা কোনো বক্তব্য দেখতে পাই নাই। তবে আইএমএফ কিংবা এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বা কোনো পত্রিকা যদি ছিটেফোঁটা নেতিবাচক প্রতিবেদনও দিতো, তাহলে দেখতে পেতেন এত দিনে তাদের বক্তব্যে সমস্ত টেলিভিশন ঝালাপালা হয়ে যেত।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, যে ইতিবাচক প্রতিবেদন নিয়ে ভারতজুড়ে তোলপাড়, এতে তারা নিশ্চুপ। এতে প্রশ্ন আসে, দেশে ভালো কিছু হলে তারা আদৌ খুশি হন কি না। তারা কি আসলে দেশকে খারাপভাবে, নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করার জন্য গবেষণা করে। কোনো ইতিবাচক কোনো প্রতিবেদন হলে তারা নিশ্চুপ থাকে কেন? এটি অনেকেরই প্রশ্ন।

উক্ত  সভায় অন্যান্যের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন খুলনা-১ আসনের এমপি পঞ্চানন বিশ্বাস, খুলনা বিভাগীয় কমিশনার ড. মু:আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, খুলনা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জি এম আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *