ডায়ালসিলেট ::

শরীরের জন্য আমাদের দেশে নানা উপকারী উপাদান রয়েছে। যা খেলে শরীর,মন,মস্তিষ্ক ও দৃষ্টিশক্তি ভাল থাকে । বর্তমানে এই শীতের সবজির মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ফুলকপি ও লালশাক।
ফুলকপিতে আছে এমন কিছু উপাদান যা ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। ফুলকপির সালফোরাফেন ক্যান্সারের স্টেম সেল ধ্বংস করতে সাহায্য করে এবং বিভিন্ন ধরনের টিউমারের বৃদ্ধি প্রতিহত করে। হৃৎপিণ্ড ভালো রাখতে ফুলকপি বেশ সহায়ক। এর সালফোরাফেন উপাদান রক্ত চাপ কমায় এবং কিডনি ভালো রাখে।

ফুলকপি রান্না করে, সালাদ বা ভেজে, নানা ধরনের স্যুপ তৈরি করে বা তরকারি হিসেবে খাওয়া যায়। ভিটামিন, মিনারেল, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ফাইটকেমিক্যালসহ বিভিন্ন পুষ্টিকর উপাদানে ভরপুর এই সবজি। ফুলকপিতে রয়েছে ‘অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি নিউট্রিয়েন্টস’, যা শরীরের দহন প্রক্রিয়াকে নিয়ন্ত্রণে রাখে।

নিয়মিত ফুলকপি খেলে দেহের প্রয়োজনীয় পুষ্টি চাহিদা পূরণ হয়। এতে প্রচুর ভিটামিন-সি, ভিটামিন কে, ভিটামিন বি৬, প্রোটিন, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, ফাইবার, পটাশিয়াম ও ম্যাঙ্গানিজ আছে। যা মস্তিষ্কের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কলিন মস্তিষ্কের কগনিটিভ প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে।

 

অন্যদিকে লাল শাক খেতে খুব সুস্বাদু লাগে। এই লালশাকে যে কত রকমের স্বাস্থ্যগুণ লুকিয়ে আছে তা হয়তো অনেকেই জানেন না। অনেকেই খেতে ভালোবাসেন আবার অনেকে লাল শাক পছন্দও করেন না। কিন্তু আমাদের দেহের সুস্থতা বজায় রাখার জন্য লাল শাকের গুরুত্ব অনেক বেশি।

লালশাক ভাজি, বা ছোট কোনো মাছ দিয়ে লাল শাকের ঝোল খেতে পারেন। লালশাক খেলে দেহের রক্তশূন্যতা রোধ করতে সাহায্য করে। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন। লালশাক দিয়ে জুস বানিয়েও খাওয়া যেতে পারেন। কিছু সাধারণ উপাদান যেমন- ডিম, মধু, লেবুর রস ও লাল শাক একসঙ্গে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন তারপর এরপর ব্লেন্ড করে সামান্য পানি মিশিয়ে খেয়ে নিন। ভালো ফলাফল পেতে প্রতিদিন অন্তত একবার খাওয়া উচিত।

লালশাক কিডনি ফাংশনগুলো ভালো রাখতে ও কিডনি পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও যেসব নারীরা মাত্রই সন্তান জন্ম দিয়েছেন তাদের জন্য লাল শাক খুব কার্যকরী। লাল শাকে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি যা চোখের দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধির জন্য খুব উপকারী। তাই দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করতে ডায়েট মেন্যুতে রাখুন লালশাকটি। এমনকি চুলের স্বাস্থ্যের জন্য লাল শাক ভালো। লাল শাক ও লবণ একসঙ্গে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন, তারপর ছেকে রস সংরক্ষণ করুন রসটি চুলের গোড়ায় তেলের মতো করে দিয়ে কিছুক্ষণ রেখে ধুয়ে ফেলুন। এই জুসটি পুরো সপ্তাহে ২/৩ বার ব্যবহার করতে পারেন চুলে। এটি চুলের গোড়া মজবুত করে এবং চুলে মিনারেল ও পুষ্টি জোগায়।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *