ডায়ালসিলেট ডেস্ক::বন্ধ থাকার প্রায় সাড়ে তিন মাস পর দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে প্রথমবারের মতো পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে।

আজ শনিবার (২ জানুয়ারি) দিনাজপুরে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বিকেলে ১৯ টন পেঁয়াজ নিয়ে ভারতীয় একটি ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশ করে। সন্ধ্যার মধ্যে আরও দুটি পেঁয়াজের ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশ করার কথা রয়েছে বলে জানান হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রফতানিকারক গ্রুপের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহিনুর রেজা শাহিন।

এর আগে, অভ্যন্তরীণ বাজারে পেঁয়াজের সংকট ও মূল্যবৃদ্ধির অজুহাত দেখিয়ে গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ভারত সরকার।

সে কারণেই প্রায় সাড়ে তিন মাস বন্ধের পর শনিবার দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে প্রথমবারের মতো পেঁয়াজ আমদানি হলো। তবে ব্যবসায়ী নেতাদের দাবি বেশি দামে এলসি করার কারণে দেশের পেঁয়াজের বাজারে দাম কমার পরিবর্তে দাম বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

এতে করে ভারতীয় পেঁয়াজ বাংলাদেশে প্রবেশের পর এর মূল্য গিয়ে দাঁড়াবে কেজি প্রতি ২৪ টাকা। কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশি পেঁয়াজের মূল্য ২৫ থেকে ৩০ টাকা বিক্রয় হচ্ছে।

হিলি স্থলবন্দর সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে অভ্যন্তরীণ বাজারে পেঁয়াজের সংকট ও মূল্যবৃদ্ধির অজুহাত দেখিয়ে নিষেধাজ্ঞা আরোপের কারণে টানা সাড়ে ৩ মাস বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ ছিল।

গত ২৯ ডিসেম্বর থেকে সেই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয় ভারত সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় কয়েক হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজের এলসি খুলেছে ব্যবসায়ী।

হিলি বাজারের পেঁয়াজের আড়তদার ফেরদৌস অলী বলেন, ‘হিলিস্থল বন্দর আড়তগুলো মূলত ভারতীয় পেঁয়াজ দিয়ে চলে। কিন্তু কয়েক মাস ভারতীয় পেঁয়াজ না আসায় কয়েকটি আড়ত বন্দের উপক্রম হয়েছে।

বর্তমানে হিলি বাজারে দেশীয় পেঁয়াজ প্রতি কেজি ২৫ টাকা করে বিক্রয় হচ্ছে। আর বারমা পেঁয়াজ বিক্রয় হচ্ছে ২৫ টাকা কেজি। তবে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করার খবরে দেশীয় পেঁয়াজ কেজিতে ৫ টাকা কমেছে।

হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রফতানিকারক গ্রুপের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহিনুর রেজা শাহিন, ‘নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ভারত থেকে একটি ট্রাক পেঁয়াজ নিয়ে হিলিস্থল বন্দর দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। কিন্তু এর বিপরীতে দেখা যাচ্ছে রফতানিমূল্য ২৫০ থেকে ২৭৫ ডলার হওয়ার কারণে মালের ডিউটি খরচ দিয়ে পত্তা পড়তেছে ২৭ থেকে ২৮ টাকার মতো। ভারতীয় এবং বাংলাদেশি যে পেঁয়াজের বাজার তাতে ২ থেকে ৩ টাকা পার্থক্য হবে।

হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রফতানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ হারুন বলেন, ‘কয়েক দিন আগে পেঁয়াজ পাঠানো নিয়ে ভারত সরকারের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পর শনিবার হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ১৯ টন পেঁয়াজ নিয়ে বাংলাদেশে একটি ট্রাক প্রবেশ করে। সন্ধ্যার মধ্যে আরও দুটি ট্রাক পেঁয়াজ নিয়ে আসার কথা রয়েছে।’

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *