ডায়ালসিলেট::এই দশটা দিন মনে খুব তাড়া ছিলো। অফিস থেকে বের হয়ে রাত ০৮/০৯ টা হলেও কেমুসাসের বই মেলায় ঢু দিতাম। আমার মত চাকুরীজীবিদের একই হাল। বন্ধু আনোয়ার হোসেন মিছবাহও একই দোষে দুষ্ট। বন্ধু এহসানকে পেলাম বছর খানেক পর। বন্ধু সাহেদ ভাই, নাজু ভাই একেবারে উধাও। নিয়াজ ভাইতো মেঘ না চাইতে বৃষ্টি। আদিবা লাইব্রেরির মালিক বন্ধু লয়লু ভাইয়ের সরল সম্ভাষণ প্রতিদিনের উপস্থিতির তাগিদ বাড়ায়। প্রকাশক বন্ধু নওয়াব আলী আর এহসান মিলে চায়ের আড্ডা প্রত্যাশা থেকে বাড়তি ছিলো। ব্যস্ত সুমনকুমার প্রতিদিনই এসেছে এবং কাঁচা বাজারের মত দু’হাত ভরে বই কিনে নিয়েছে। কবিবন্ধু সঞ্জয় সঞ্জুদার রূপ দর্শনের সুযোগ হয়েছে একদিন। অভিভাবক আব্দুল হামিদ মানিক ভাইয়ের কড়া আদেশ, “মেলায় কিন্তু প্রতিদিন দেখতে চাই”। বিধূদা, সেলিম ভাই, শাহেদ বখত ভাইয়ের সাথে আড্ডা হয়েছে নিত্য। রিপন আহমদ ফরিদীকে প্রতিদিন দেখা সৌভাগ্যের। রাহাত তরফদার প্রতিদিনের ছাত্রের মত হাজির ছিলো চৈতন্যে। মিউজিক এন্ড ফিল্ম প্রডিউজার নিশীথ সূর্যকে পেয়ে ভালো লাগলো। সব কিছু উতরিয়ে এবারের কেমুসাস বইমেলার আহ্বায়কের লাগাতার অনুপস্থিতি পুষিয়ে দিয়েছেন পারমিতা সিলেট এর নির্বাহী সদস্য, মেলার সদস্য সচিব কবি ও আইনজীবি আব্দুল মুকিত অপি। তার প্রতিদিনের আমন্ত্রণ ছিলো আবেগপূর্ণ। মেলায় যে বা যারা উপস্থিত হয়েছেন সবার সাথেই সারা দিনের কর্মব্যস্ততার ক্লান্তিকে আড়াল করে হাসি মুখে আবাহন জানিয়েছেন। আমি অপির কর্মদক্ষতা আর কর্মতৎপরতায় বিমুগ্ধ, কারণ অপি বয়সে আমাদের অনেক ছোট হয়েও এতো দক্ষতার সাথে কর্ম সম্পাদন করে যা সত্যিই প্রশংসার দাবীদার।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *