ডায়ালসিলেট ::
রাজধানী নয়াদিল্লিসহ বেশ কয়েকটি রাজ্যের হাসপাতালে একেবারেই অক্সিজেন নেই বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এতে ভেঙে পড়েছে চিকিৎসা ব্যবস্থা। পার্কিং লটের কাছে অনেকটা ফাঁকা জায়গা। সেখানেই সারি সারি চিতা সাজানো হয়েছে। একের পর এক করোনায় মৃত রোগীদের দেহ আসছে। ভারতের রাজধানীর এমন ছবি দেখে শিউরে উঠেছিল দেশবাসী।
জ্বলছে চিতা তবুও মৃত্যুর সংখ্যা থামছেনা। দেহ দাহ করার জায়গা নেই, কবরস্থানগুলোও ভরে গণকবর খোঁড়া হচ্ছে। ঠিক এমনই পরিস্থিতি এখন নয়াদিল্লিতে। আবারও একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড করল দিল্লি।
ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যমতে, ভারতে একদিনে (২৩ এপ্রিল) ৩৪ লাখ ৫১ হাজার ৪৭ জনের করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে। করোনায় একদিনেই মারা গেছেন ২ হাজার ৬২১ জন। হাসপাতালগুলোতে নেই কোভিড বেড, মেডিকেলগুলোতে এখন অক্সিজেনের সংকট। হাসপাতাল-নার্সিংহোমগুলোর বাইরে রোগীদের লম্বা লাইন। এমনকি জায়গার অভাবে ফুটপাতেও ঠাঁই নিতে হয়েছে সঙ্কটাপন্ন কোভিড রোগীদের সংখ্যা। আপনজনদের ভর্তি করাতে না পেরে অনেককে কাঁদতে দেখা গেছে হাসপাতালের সামনে।
এ অবস্থায় দেশটিতে ট্রিপল মিউট্যান্ট বা তিনবার রূপ পরিবর্তনকারী তিনগুণ বেশি শক্তিশালী নতুন করোনার সন্ধান মিলেছে। যা টিকা নিলেও প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়। এতে দেশটির চিকিৎসা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। ফলে হাসপাতাল থেকে লাশ সরাতে সরাতেই ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন দেশটির কর্মীরা।
এমন পরিস্থিতিতে জনবসতিপূর্ণ এলাকার পাশে জ্বলন্ত গণচিতার ওই ছবিটি সামনে এনেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। তারা জানিয়েছে, শুধু শ্মশানই নয়, রাজধানীর কবরস্থান গুলোর অবস্থাও এক। মহদেহ সমাহিত করার জায়গা পেতে হিমশিম খেতে হচ্ছে করোনায় মৃতদের পরিবারকে।
নিতিশ কুমার নামে একজন জানান, কোভিডে আক্রান্ত হয়ে দু’দিন আগে তার মা মারা গিয়েছেন। কিন্তু কোনো শ্মশানে মায়ের মরদেহ দাহ করার জায়গা পাননি। বাধ্য হয়ে দু’দিন বাড়িতেই মায়ের মহদেহ রেখে দিয়েছিলেন তিনি। নিজে এদিক-ওদিক চষে বেড়িয়েছেন। কোথায় দাহ করা যায়, জায়গা খুঁজছিলেন। শেষমেশ একটি পার্কিং লটে গড়ে ওঠা অস্থায়ী শ্মশানে মা-কে চিতায় তোলার জায়গা মেলে।
দিল্লিতে এমন দৃশ্য দেখতে হবে কেউ ভাবেনি।ছোট শিশু,ছেলেমেয়ে, ৫ থেকে ২৫ বছরের ছেলে মেয়েরা বেশী মারা যাচ্ছে।। সদ্য বিবাহিত অনেকের দেহও শ্মশানে আসছে। চোখে দেখা যাচ্ছে না।