আন্তর্জাতিক ডেস্ক::

থাইল্যান্ড সীমান্তে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর একটি ঘাঁটি দখলে নিয়েছে শক্তিশালী কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়ন (কেএনইউ) বিদ্রোহীরা।

মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) সকালে পূর্বাঞ্চলীয় ওই ঘাঁটি দখলে নেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন বিদ্রোহীদের এক কর্মকর্তা। এএফপি’র প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

গত ১ ফেব্রুয়ারি বেসামরিক নেত্রী অং সান সু চিকে সরিয়ে সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখল করলে অস্থিরতার মধ্যে পড়ে মিয়ানমার। অভ্যুত্থান বিরোধী বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়লে দমন-পীড়ন শুরু করে সেনাবাহিনী।

সেনা অভ্যুত্থান বিরোধী বিক্ষোভকারীরা সারাদেশে ব্যাপক সমর্থন পায়। কয়েক দশক ধরে স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে সশস্ত্র লড়াই চালিয়ে আসা বিদ্রোহীরাও তাদের সমর্থন দেয়।

বিদ্রোহীদের মধ্যে অন্যতম হলো কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়ন (কেএনইউ)। তারা গত কয়েক সপ্তাহ মিয়ানমারের পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্তে সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছে।

কারেন রাজ্যের সালবিন নদীর কাছে মঙ্গলবার সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। নদীটি মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডকে আলাদা করেছে। নদীর থাই অংশের বাসিন্দারা মিয়ানমার থেকে গুলি ও বিস্ফোরণের শব্দ শোনার কথা জানিয়েছে।

কেএনইউ’র বিদেশ বিষয়ক প্রধান পাদোহ শো থো নী এএফপি-কে বলেন, ‘আমাদের সেনারা বার্মিজ সামরিক ক্যাম্প দখলে নিয়েছেন।’

গত মাসে কারেন বিদ্রোহীরা একটি সামরিক ঘাঁটি দখলে নেয়। এর পর কয়েক দফা বিমান হামলা চালিয়ে এর জবাব দেয় জান্তা সরকার। গত ২০ বছরের মধ্যে কারেন রাজ্যে এই প্রথম বিমান হামলার ঘটনা ঘটলো।

এদিকে, মিয়ানমারের পাল্টা হামলার আশঙ্কায় স্থানীয়রা বাড়িঘর ছেড়ে অন্য শহরের উদ্দেশে ছুটছেন। সকালে লড়াই শুরু হওয়ার পর থেকেই স্থানীয়রা এলাকা ছাড়তে শুরু করেন।

সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে কারেনে সংঘর্ষ তীব্র হয়েছে। এতে ২৪ হাজার বাসিন্দা বাস্তুচ্যুত হয়েছেন যাদের দুই হাজার নদী পাড়ি দিয়ে থাইল্যান্ডে আশ্রয় নিয়েছেন।

মিয়ানমারের এক-তৃতীয়াংশ ভূখণ্ড বিশেষ করে সীমান্ত এলাকা বেশকিছু বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এসব বিদ্রোহীদের নিজস্ব মিলিশিয়া বাহিনী আছে।

 

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *