ডায়ালসিলেট ডেস্ক ::
ভবিষ্যতের মহামারি অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল প্রতিরোধের (এএমআর) কার্যকরভাবে লড়াইয়ের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাঁচ দফা ওপর গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৯শে এপ্রিল২০২১ইং) ‘হাই লেভেল ইন্টারেকটিভ ডায়লগ অন অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিসট্যান্স (এএমআর)’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে ভিডিও বার্তায় এ আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বক্তব্যে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিসট্যান্স মোকাবেলায় যে পাঁচটি পদক্ষেপের গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলেন। সেগুলো হলো-
১. বিভিন্ন খাতের সমন্বয়ে একটি কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন, যেখানে নিম্ন এবং মধ্যম আয়ের দেশগুলোকে গুরুত্ব দিয়ে সম্মিলিত আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক কর্মপরিকল্পনাও অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
২. ভালো উৎপাদন, পরীক্ষাগার এবং নজরদারি কাঠামো প্রণয়ন।
৩. প্রয়োজনে প্রযুক্তি বিনিময় এবং মালিকানা ভাগাভাগির মাধ্যমে সাশ্রয়ী এবং কার্যকর অ্যান্টিবায়োটিকের সহজলভ্যতা নিশ্চিত করা।
৪. এএমআর নিয়ন্ত্রণে টেকসই অর্থায়ন এবং
৫. সদস্য দেশগুলোর মধ্যে রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি এবং সহযোগিতার মাধ্যমে এএমআর মোকাবেলায় বিশ্বব্যাপী জনসচেতনতা তৈরি।
এই বিপত্তি মোকাবেলায় ব্যর্থতা ভবিষ্যতে আরও মারাত্মক মহামারীর সৃষ্টি করতে পারে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্ব এখন ভয়াবহ কোভিড-১৯ মহামারীর মোকবেলা করছে এবং এএমআর ভবিষ্যতে আরও মারাত্মক মহামারী হয়ে দেখা দিতে পারে।’
তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে এএমআর বিষয়ক একটি উচ্চপর্যায়ের ইন্টারেক্টিভ সংলাপে দেয়া পূর্বে ধারণকৃত বিবৃতিতে একথা বলেন। এই বিপদ সময়মতো মোকাবেলায় ব্যর্থতার ফলে মানবজীবন, প্রাণী এবং উদ্ভিদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হবে,’ যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।
ডব্লিউএইচওর ধারণা মতে, ২০৫০ সালের মধ্যে এএমআরের কারণে ১০ মিলিয়ন মানুষ মারা যাবে এবং অর্থনৈতিক ক্ষয়ক্ষতি ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে, যা খাদ্য সুরক্ষা, এসডিজি ও সার্বজনীন স্বাস্থ্যের অর্জনকে বাধাগ্রস্ত করবে।’
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৫তম অধিবেশনের ফলোআপ হিসেবে ‘সার্বজনীন স্বাস্থ্য কভারেজ সম্পর্কিত উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠকের রাজনৈতিক ঘোষণা’ শিরোনামে প্রেসিডেন্ট ভোলকান বোজকির সংলাপটির আহ্বান করেন। শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লুএইচও)-র অনুমান অনুযায়ী, এএমআর থেকে ২০৫০ সাল নাগাদ প্রতি বছর ১ কোটি মানুষ মারা যাবেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকার ছয় বছর (২০১৭-২০২২) মেয়াদী অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিসট্যান্স কনটেইনমেন্ট- এআরসি সম্পর্কিত জাতীয় কৌশল এবং কর্মপরিকল্পনা তৈরি করেছে। পাশাপাশি এআরসি সম্পর্কিত জাতীয় কারিগরি কমিটি এবং বাংলাদেশ এএমআর রেসপন্স অ্যালায়েন্স গঠিত হয়েছে।’
সরকার প্রধান আরও বলেন, ‘ডব্লিউএইচও এর শ্রেণিবিন্যাস নিশ্চিত করতে মানুষ ও প্রাণী উভয়ের স্বাস্থ্যের ওপর নিয়মিত গবেষণাগারভিত্তিক এএমআর নজরদারি পরিচালানা করা হচ্ছে। একইভাবে ২০০৯ সাল থেকে আমরা ডব্লিউএইচওর গ্লাস প্ল্যাটফর্মকে এএমআর নজরদারি সংক্রান্ত তথ্যউপাত্ত সরবরাহ করে আসছি।’