ডায়ালসিলেট ;: সিলেট করোনার সংক্রমণে আবারো ডেঞ্জার জোনে পরিণত হচ্ছে । গত ২৪ ঘণ্টায় সিলেটে আরও ৭ জনের প্রাণহানী হয়েছে। এরা সবাই সিলেট জেলার বাসিন্দা। একইসাথে আক্রান্ত হয়েছেন ১৯৯ জন। যার মধ্যে ১১২ জনই সিলেটের।
গত বছরের মার্চ থেকে এ বছরের ১ জুলাই পর্যন্ত সিলেট বিভাগে করোনায় ৪৭৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়ে সবচেয়ে বেশী মারা গেছেন সিলেট জেলায়। যা মৃত্যুর সংখ্যা ৩৯১ জন। এছাড়া সুনামগঞ্জে ৩৩ জন, হবিগঞ্জে ১৯ জন ও মৌলভীবাজারের ৩৫ জন রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১ জুলাই জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সিলেট বিভাগীয় পরিচালক ডা. সুলতানা রাজিয়া স্বাক্ষরিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, গেল ২৪ ঘন্টায় সিলেটের চারটি ল্যাবে নমুনা পরীক্ষায় ১৯৯ জন করোনা আক্রান্ত সনাক্ত হন। এর মধ্যে সিলেট জেলার ১১২ জন, সুনামগঞ্জে ৮ জন, হবিগঞ্জে মৌলভীবাজারে ২৯ জন ও সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ৩৫ জনের করোনা সনাক্ত হয়। নতুন করে ১৯৯ জনসহ সিলেট বিভাগে করোনা প্রমাণিত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৫ হাজার ৯৮১ জন।
এরমধ্যে শুধুমাত্র সিলেট জেলায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৭ হাজার ১৯৪ জন, সুনামগঞ্জে ৩ হাজার ০০৬ জন, হবিগঞ্জে ২ হাজার ৭৫৬ জন ও মৌলভীবাজারে ৩ হাজার ২৫ জনের করোনায় আক্রান্ত সনাক্ত হয়েছেন। গেল ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হয়েছেন ৯৯ জন। এরমধ্যে সিলেট জেলার ৬৯ জন, সুনামগঞ্জের ৮ জন ও মৌলভীবাজারে আরও ২২ জন রয়েছেন।
এ নিয়ে সুস্থ হওয়ার সংখ্যা দাঁড়ালো ২৩ হাজার ৬৭২ জন। এর মধ্যে সিলেট জেলার ১৬ হাজার ৭০ জন, সুনামগঞ্জে ২ হাজার ৮২৮ জন, হবিগঞ্জে ২ হাজার ১১০ জন ও মৌলভীবাজারে ২ হাজার ৬৬৪ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় সিলেট বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪০ জন করোনা আক্রান্ত রোগী। এরমধ্যে সিলেট জেলার ২৯ জন ও মৌলভীবাজারে আরও ২২ জন রয়েছেন। সব বিমিলিয়ে সিলেট বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৩৬৮ জন। এরমধ্যে সিলেট জেলায় ৩৪২ জন, সুনামগঞ্জে ৭ জন, হবিগঞ্জে ২ জন, মৌলভীবাজারে আরও ১৮ জন।
সারাদেশে আজ থেকে শুরু হয়েছে সাত দিনের ‘কঠোর বিধি-নিষেধ’। গতকাল বুধবার (৩০ জুন) এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে মন্ত্রীপরিষদের পক্ষ থেকে।
প্রজ্ঞাপনে কঠোর বিধি-নিষেধ চলাকালে সরকারি-বেসরকারি সব অফিস, যানবাহন ও দোকানপাট বন্ধ রাখার কথা বলা হয়েছে। এই সময়ে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বের হলে কঠোর শাস্তির মুখে পড়তে হবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে এতে। তবে বরাবরের মতো এবারও জরুরি সেবাগুলোকে ‘বিধি-নিষেধ’র আওতামুক্ত রাখা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, আইন-শৃঙ্খলা এবং জরুরি পরিসেবা যেমন- কৃষিপণ্য ও উপকরণ (সার, বীজ, কীটনাশক, কৃষি যন্ত্রপাতি ইত্যাদি), খাদ্যশস্য ও খাদ্যদ্রব্য, ত্রাণ বিতরণ, স্বাস্থ্য সেবা, করোনার টিকাদান, রাজস্ব আদায় সম্পর্কিত কার্যাবলি, বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস/জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, টেলিফোন ও ইন্টারনেট (সরকারি-বেসরকারি), গণমাধ্যম (প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া), বেসরকারি নিরাপত্তা ব্যবস্থা, ডাকসেবা, ব্যাংক, ফার্মেসি ও ফার্মাসিউটিক্যালসসহ অন্যান্য জরুরি/অত্যানশ্যকীয় পণ্য ও সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফিসসমূহের কর্মচারী ও যানবাহন প্রাতিষ্ঠানিক পরিচয়পত্র প্রদর্শন সাপেক্ষে যাতায়াত করতে পারবে।
এম/