স্পোর্টস ডেস্ক;:আবুধাবির চায়না ক্যাম্পের শ্রমিক মতিন মিয়া। ধীরে ধীরে হেঁটে আসছিলেন শেখ আবু জায়েদ স্টেডিয়ামের দিকে। তাপ থেকে বাঁচতে মাথার উপরে তুলে রেখেছেন বড় একটি লাল সবুজের পতাকা। মাঠের দিকে হেঁটে আসতে তাকে পাড়ি দিতে হয়েছে লম্বা পথ। কিন্তু মুখে নেই একটুও ক্লান্তির ছাপ। জানালেন খুব বেশি বেতন পান না। তবুও টিকিট কিনেছেন, স্টেডিয়ামে প্রবেশ করতে করিয়েছেন পয়সা খরচ করে কোভিড-১৯ টেস্ট। বানিয়েছেন বড় একটা পতাকাও। আশা একটাই জিতুক না জিতুক, হারুক অন্তত লড়াই করুক। তার মতো এমন আশা নিয়ে হাজির হয়েছিলেন হাজারখানেক টাইগার সমর্থক। কিন্তু লড়াই তো দূরের ব্যাপার ৮ উইকেটে হেরেছে দল। কোন অদৃশ্য চাপে এমন ছন্নছাড়া বাংলাদেশ! সবশেষ এশিয়া কাপেও এমন ছিল না! হারলেও করেছে দুর্দান্ত লড়াই। গতকালও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১২৪ রানে থামে ইনিংস। এত অল্প পুঁজি নিয়ে বোলারদেরও প্রতিরোধ গড়ার কিছু ছিল না। তাদের শরীরী ভাষায় ছিল না বিশ্বকাপের উত্তেজনা আর লড়াইয়ের তেজ। কোনো এক অদৃশ্য শক্তি যেন চেপে ধরেছে তাদের লড়াই আর প্রতিরোধের শক্তি। ম্যাচ শুরুর আগে স্টেডিয়ামের বাইরে সাবেক অধিনায়ক ও বিসিবি পরিচালক নাঈমুর রহমান দুর্জয়ও বেশ অবাক টাইগারদের এমন আচরণে। তিনি বলেন, ‘আমি খুবই অবাক হচ্ছি বাইরের আলোচনা নিয়ে কেন ক্রিকেটাররা এই সময় মন্তব্য করবে! ওদের তো এখন ম্যাচে ফোকাস থাকার কথা। আমিও এখন কিছু বলতে চাই না। সমস্যা থাকলেও আমরা পরে তা সমাধান করবো এখন বিশ্বকাপ হোক একমাত্র লক্ষ্য।’
ডায়ালসিলেট এম/