ডায়ালসিলেট ডেস্ক::ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ছলে বলে কৌশলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কেউ নির্বাচিত হলে তা শৃঙ্খলাবিরোধী অপকর্ম বলে গণ্য করা হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। গতকাল তার বাসভবনে ব্রিফিংকালে এ কথা বলেন তিনি। ইউপি নির্বাচনে মনোনয়নকে কেন্দ্র করে যারা সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গ করছেন, নিজেদের মধ্যে সংঘাত-সংঘর্ষে লিপ্ত হচ্ছেন, তাদের সাংগঠনিক শৃঙ্খলাবিরোধী তৎপরতায় লিপ্তদের হুঁশিয়ার করেছেন তিনি। এ বিষয়ে তিনি বলেন, সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গকারী এবং তাদের মদতদাতা, উস্কানিদাতা নেতা ও জনপ্রতিনিধিরাও দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থার সম্মুখীন হবেন। শৃঙ্খলাভঙ্গকারী এবং তাদের মদতদাতাদের বিরুদ্ধে দলীয় প্রধানের নির্দেশে তালিকা তৈরি করা হচ্ছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, অপকর্ম করলে কেউ রেহাই পাবে না। শাস্তি তাদের পেতেই হবে। বিএনপি’র সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ধর্ম, সামপ্রদায়িকতা আর ভারতবিরোধিতা বিএনপি’র রাজনৈতিক ট্রাম্পকার্ড। আওয়ামী লীগকে ভোট দিলে মসজিদের আজান বন্ধ হয়ে যাবে, উলুধ্বনি বাজবে এসব বক্তব্য কারা রেখেছিল? এখন আর এসবে কেউ কান দেয় না। বিএনপি’র স্বার্থান্বেষী, ক্ষমতার রাজনীতি নতুন প্রজন্মের কাছেও স্পষ্ট। ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, দেশের মানুষ ভালো করেই জানে বাংলাদেশের জন্মের পর থেকে আজ পর্যন্ত এ দেশে কারা সামপ্রদায়িক রাজনীতি করেছে। কারা ধর্মকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছে। বিএনপি ক্ষমতায় যেতে এবং ক্ষমতা অবৈধভাবে ধরে রাখতে সামপ্রদায়িক শক্তির ওপর নির্ভর করেছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। দেশে ধর্মীয় উগ্রবাদ সৃষ্টি হয়েছে বিএনপি’র আমলে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ৬৩টি জেলায় একই সঙ্গে বোমা হামলা হয়েছিল। বিএনপি’র শাসনামলে শায়খ আবদুর রহমান, বাংলাভাইরা যে উগ্রপন্থার জন্ম দিয়েছিল, তার প্রশ্রয়দাতা আর আশ্রয়দাতা ছিল বিএনপি। আওয়ামী লীগ জনগণের রাজনীতি করে বলেই জনগণ আওয়ামী লীগের প্রাণশক্তি, অপর দিকে যারা ক্ষমতাকে নিজের ভাগ্য বদলের চাবি মনে করে এবং দেশে-বিদেশে সম্পদের পাহাড় গড়ে ষড়যন্ত্র, হত্যা, সন্ত্রাসনির্ভরতা রাজনীতি করে, তাদের জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে বলে মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।
ডায়ালসিলেট এম/