নিজস্ব প্রতিবেদক :: সিলেটের ভোজনবাড়ি রেস্টুরেন্টে মেয়াদোত্তীর্ণ লাইসেন্স এবং অস্বাস্থ্যকর খাবারসহ নানা অনিয়মের কারণে রেস্টুরেন্টটি সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ (সিলগালা) করে দিয়েছে র‍্যাব-৯। এসময় রেস্টুরেন্টের একজন ম্যানেজার ও একজন সুপারভাইজারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যাওয়ায় হয়েছে বলে জানায় র‍্যাব।

 

এদিকে নষ্ট খাবার রাখায় ও বিএসটিআই’র অনুমোদনহীন বিভিন্ন মসলা রান্নার কাজে ব্যবহার করায় ভোক্তা অধিকার আইনে সিলেট নগরীর দুই রেস্তোরাঁ পানসী রেস্টুরেন্ট ও পাঁচ ভাই রেস্টুরেন্টকে ৮০ হাজার করে জরিমানা করা হয়েছে।

 

মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকা থেকে আগত র‍্যাব সদর দফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসুর নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এতে ভোজনবাড়ি রেস্টুরেন্টটি লাইসেন্স এর মেয়াদোত্তীর্ন এবং ভাসি খাবার রাখারদ্বায়ে সীলগালা করা হয়। বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে নগরীর জিন্দাবাজার ভোজনভাড়ি রেস্টুরেন্টে অভিযান শুরু করে র‍্যাব-৯। এসময় নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, বিএসটিআইসহ সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষ উপস্থিত ছিলেন।

 

অভিযানে মিলে পচা বাসি খাবার। এমনকি গত ২০১৯ সাল থেকে রেস্টুরেন্টটির ট্রেড লাইসেন্সও নবায়ন করেনি কর্তৃপক্ষ। নেই রেস্টুরেন্টে খাবার পরিবেশন সংক্রান্ত কোনপ্রকার বৈধ কাগজপত্র। তাই সকল কিছু ক্ষতিয়ে দেখে কর্মীদের সরিয়ে দিয়ে রেস্টুরেন্টটি সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়।

 

অভিযান শেষে র‍্যাব সদর দফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু সাংবাদিকদের বলেন, ভোক্তাদের নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে এটি নিয়মিত অভিযান। সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে এখানে অভিযানে এসে আমরা খাদ্যের মানে ব্যাপক অনিয়ম পেয়েছি। এমন অনেক খাদ্য পেয়েছি যেগুলো দুই থেকে তিন দিন আগের। তাছাড়া ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাস থেকে তাদের ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন নেই, খাবার পরিবেশনের বৈধ কাগজপত্র নেই। সকল কিছু মিলে আমরা সাময়িক সময়ের জন্য রেস্টুরেন্টটি বন্ধ করে তাদেরকে সময় দিয়েছি। আপাতত জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রেস্টুরেন্টের দুইজনকে আমাদের সাথে নিয়ে যাচ্ছি।

 

জানা গেছে, অভিযানে পাঁচ ভাই রেস্টুরেন্ট ও পানসী রেস্টুরেন্টকে ৮০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। প্রথমে ভোজন বাড়ি রেস্টুরেন্টে ৩ ঘন্টা অভিযান চালানো হয়। পরে পানসী ও পাঁচ ভাই রেস্টুরেন্ট অভিযান চালায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

 

/এম/এ/

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *