স্পোর্টস ডেস্ক::করোনাভাইরাসের কারণে যুক্তরাষ্ট্র বনাম আয়ারল্যান্ডের প্রথম ম্যাচটি বাতিল করা হয়েছে। ম্যাচ পরিচালনাকারী আম্পায়ারের কোভিড-১৯ ধরা পড়েছে। ঘরের মাঠে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে আয়ারল্যান্ডকে হারিয়ে দেয় যুক্তরাষ্ট্র। ২৬ রানের হারে পিছিয়ে পড়ে দ্বিতীয় ম্যাচে সিরিজ ড্র করে টেস্ট খেলুড়ে আইরিশরা। এবার ওয়ানডে লড়াইয়ে নামার পালা দু’দলের। তবে বাধ সেধেছে করোনা। প্রথম ম্যাচটি বাতিল হলেও সিরিজের বাকি দুটি ম্যাচের পূর্বনির্ধারিত সূচিই বহাল রাখা হয়েছে। আগামীকাল যুক্তরাষ্ট্র-আয়ারল্যান্ডের মধ্যকার তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডে মাঠে গড়ানোর কথা ছিল। তবে আম্পায়ার প্যানেলের এক সদস্য করোনা আক্রান্ত হওয়ায় সেটি সম্ভব হচ্ছে না। প্রথম ম্যাচের দায়িত্ব থাকা বাকি তিন আম্পায়ার করোনা নেগেটিভ হলেও আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে যাওয়ায় তাদেরও আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের স্কোয়াডের সাথে থাকা এক নেট বোলারও করোনা পজেটিভ হয়েছেন। এক বিবৃতিতে ইউএসএ ক্রিকেট জানায়, ‘২৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য যুক্তরাষ্ট্র ও আয়ারল্যান্ডের মধ্যকার প্রথম ওয়ানডে স্থগিত করা হয়েছে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় ওয়ানডে পরিকল্পনা অনুযায়ী ২৮ ও ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। ’ বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আম্পায়ার প্যানেলে কোভিড-১৯ সংক্রমণে প্রথম ওয়ানডেটি বাতিল করা হয়েছে। প্রথম ওয়ানডের চারজন আম্পায়ারকেই বাদ দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে একজন করোনা পজেটিভ এবং বাকিরা করোনা নেগেটিভ হয়। যুক্তরাষ্ট্র ক্রিকেট এবং ক্রিকেট আয়ারল্যান্ড একসঙ্গে এই ব্যাপারে কাজ করছে। সিরিজের বাকি দুই ম্যাচ যেন ভালোভাবে আয়োজন করা যায় সেজন্য আইসিসিও আমাদের পাশে রয়েছে। সবকিছু স্বাভাবিক মনে হলে আমরা অবশ্য শেষ দুই ওয়ানডে আয়োজন করব।’ আয়ারল্যান্ডকে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে হারিয়ে দারুণ এক কীর্তি অর্জন করে যুক্তরাষ্ট্র। আইরিশদের হারিয়ে আইসিসির পূর্ণ সদস্য দেশের বিপক্ষে প্রথম জয়ের স্বাদ পায় ক্রিকেট বিশ্বের নবীন দলটি। যেখানে তারা গড়েছে একটি বিশ্বরেকর্ডও। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ৪ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর সর্বোচ্চ রান যোগ করার বিশ্বরেকর্ডটা নিজেদের করে নেয় যুক্তরাষ্ট্র। এ রেকর্ডটি এতদিন ধরে ছিল ইংল্যান্ডের দখলে। ২০১৩ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৪ উইকেট পড়ার পর ১৬৭ রান করেছিল ইংল্যান্ড। সেই রেকর্ড ভেঙে যুক্তরাষ্ট্র করেছে ১৭২ রান।