সিন্ডিকেট করে বিমানের টিকেটের মূল্য বৃদ্ধি, বিভিন্ন মন্ত্রনালয়ের সমন্বয়হীনতা ও বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) দায়িত্বহীনতাসহ বিভিন্ন অভিযোগ করেছেন আটাব সিলেট জোনের সাবেক সভাপতি ও আটাব গণতান্ত্রিক ঐক্য ফ্রন্ট সিলেটের সভাপতি আব্দুল জলিল।
তিনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশী প্রবাসীদের বর্তমান অবস্থা তুলে ধরে বিমানের ভাড়া নিয়ন্ত্রণসহ ৬টি প্রস্তাবনাও দিয়েছেন। আগামী এক বছরের জন্য ওপেন স্কাই ঘোষণা, এয়ারলাইন্সের টিকেট বিক্রয় ও বিপণনে নাম ছাড়া টিকেট/সিট বুকিং ও ব্লক পদ্ধতি বন্ধ, সকল মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের মধ্যে সমন্বয় করার জন্য কমিটি গঠন করে চাহিদা ও যোগানের ভারসাম্য রাখা, এয়ারলাইন্সগুলোর বিপণন ও বিক্রয় পদ্ধতি মনিটরিংয়ের জন্য কমিটি করে প্রয়োজনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা, বেবিচকের উদ্যোগী হয়ে অন্যান্যা দেশের সাথে সম্বয় করে ভাড়া নির্ধারণ ও সিলেট অঞ্চলের ওমরা যাত্রীদের জন্য সপ্তাহে অতিরিক্ত দুইটি ফ্লাইটে নির্দ্দিষ্ট আসন বরাদ্দ রাখার দাবি জানান আব্দুল জলিল। বুধবার সিলেট নগরীতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব দাবি জানান।
লিখিত বক্তব্যে আব্দুল জলিল জানান, মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যাতায়াতে এয়ার টিকেটের মূল্য ২/৩ গুণ বাড়ানো হয়েছে। বিশ্বে বাংলাদেশের এক কোটি বিশ লাখের উপর মানুষ অবস্থান করছেন। এরমধ্যে ৮০ ভাগ মধ্যপ্রাচ্যে শ্রমিক হিসেবে কাজ করছেন। করোনা শুরুর পর থেকে এয়ারলাইন্সগুলো আসন সংকট দেখিয়ে ভাড়া বৃদ্ধি শুরু করে। যা একজন শ্রমজীবী প্রবাসীর এক বছরের বেতনের সমান। অতিরিক্ত ভাড়া ও আসন সংকটের কারণে দেশের ট্রাভেলস ব্যবসায়ীরা যাত্রীদের সময়মত ফ্লাইট দিতে পারছেন না। ২ বছর ওমরা হজ ফ্লাইট বন্ধ থাকার পর আবার চালু হলেও বিমানসহ বিভিন্ন এয়ারলাইন্স আগামী ৩-৪ মাস পর্যন্ত আসন শূন্য রেখেছে। এটা খুবই দু:খজনক। এসব বিষয় সমাধানের জন্য ৫ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও পররাষ্ট্র ও প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রীসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় চিঠি দেওয়া হয়েছে।
বক্তব্যে আব্দুল জলিল বিমানের আসন সংকট ও ভাড়া বৃদ্ধির পেছনে বেশ কিছু কারণ উল্লেখ করে জানান, কিছু এয়ারলাইন্সের সহযোগিতায় গুটি কয়েক ট্রাভেলস এজেন্সি নেতা টিকেট সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত। করোকালীন সময় ফ্লাইট বন্ধ থাকায় দেশে ফেরা প্রবাসীরা পরবর্তীতে কর্মস্থলে ফেরতে শুরু করলে সুবিধাভোগীরা টিকেটের মূল্য বৃদ্ধি করে দেয়। কোনো মন্ত্রণালয় কার্যকরী পদক্ষেপও নিচ্ছে না। বেবিচক বিভিন্ন রুটে ভাড়া অনুমোদন করে থাকলেও তারা রয়েছে নির্বিকার। তারা দায় এড়াতে পারে না। টিকেট বুকিং বা ব্লকের কারণে ফ্লাইটে অনেক সময় সিট খালি পড়ে থাকে। অথচ যাত্রীরা টিকেট পায় না।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- হাব এর সাবেক সভাপতি মনসুর আলী খান, সাবেক সেক্রেটারি আব্দুল হক, আটাবের সাবেক সহ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম, আটাব সদস্য সফির উদ্দিন, ইসমাইল হোসেন কয়েছ, আব্দুল কাদির, মিসবাউল করিম, আলমগীর হোসেন, আনসার উদ্দিন প্রমুখ।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *