আন্তর্জাতিক ডেস্ক :: হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের এক অধ্যাপকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন তিন শিক্ষার্থী। মঙ্গলবার দায়ের করা ওই মামলায় অধ্যাপক জন কোমারফ ছাড়াও বিশ্ববিদ্যায়লকে অভিযুক্ত করা হয়। সংবাদমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, প্রতিষ্ঠানটি তার শিক্ষার্থীদের যৌন নিপীড়ন ও শিক্ষকের প্রতিহিংসার হাত থেকে রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে। মামলায় বাদীরা ক্ষতিপূরণমূলক ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা দাবি করেন।
মামলার তিন বাদী, মার্গারেট চেরউইয়েনস্কি, লিলিয়া কিলবার্ন ও অমূল্য মান্ডাভা অভিযোগ করেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের আফ্রিকান এবং আফ্রিকান আমেরিকান স্টাডিজ ও নৃবিজ্ঞানের অধ্যাপক জন কোমারফ, ছাত্রীদের সম্মতি ছাড়াই চুমু ও তাঁদের গায়ে হাত দিয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত যৌন হয়রানি করেছিলেন। এমনকি তিনি তাঁদের ছাত্রজীবন ধ্বংস করার হুমকি দিয়েছিলেন।
মামলায় আরও বলা হয়, একজন অধ্যাপক কর্তৃক শিক্ষার্থীদের যৌন হয়রানি থেকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এই ব্যর্থতা ইঙ্গিত দেয় যে—এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদাসীনতার প্রাতিষ্ঠানিক নীতি। এই নীতি বিশ্ববিদ্যালয়ে খ্যাতি, এর অনুষদসমূহ এবং এর শিক্ষকদের বিদ্যমান সম্মানকে যেকোনো মূল্যে রক্ষ করা। এমনকি শিক্ষার্থীদের স্বার্থ বলিদান দিয়ে হলেও।
সিএনএন-কে দেওয়া এক বিবৃতিতে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাঁদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তাঁরা জানিয়েছে, ‘এমন বিষয়ে (যৌন নিপীড়ন) বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করে থাকে তা এই মামলায় সঠিকভাবে উল্লিখিত হয়নি।’
এদিকে কোমারফের আইনজীবী এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ‘কোমারফ কোনো ছাত্রীর বিরুদ্ধে হয়রানি বা প্রতিশোধ নেওয়ার বিষয়টি স্পষ্টভাবে অস্বীকার করেছেন। কোনো শিক্ষার্থীকে চুম্বন বা অযাচিতভাবে স্পর্শ করার অভিযোগও অস্বীকার করেছেন তিনি।’
ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘অধ্যাপক কোমারফ তাঁর কাজের ক্ষেত্রে কেবল এক নেতৃস্থানীয় তাত্ত্বিকই নন—তিনি একজন গভীর যত্নশীল মানুষ, যিনি কয়েক দশক ধরে শিক্ষার্থীদের অগ্রগতির জন্য তাঁর সকল প্রচেষ্টা উৎসর্গ করেছেন।’

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *