কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

দেখে নেওয়া যাক কোন দেশ কী কী নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে রাশিয়ার ওপর 

যুক্তরাষ্ট্র
রাশিয়ার আর্থিক খাতকে কেন্দ্র করেই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। গত সোমবার স্বাক্ষর করা মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের এক নির্বাহী আদেশে রাশিয়ার আর্থিক খাতের যেকোনো প্রতিষ্ঠানকেই মার্কিন নিষেধাজ্ঞার লক্ষ্য বলে উল্লেখ করা হয়।

ওয়াশিংটন রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত বৃহত্তম অর্থ লগ্নিকারী প্রতিষ্ঠান ভিইবি ও প্রমজভ্যাজব্যাংকের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। ব্যাংক দুটিকে রুশ সরকারে আশীর্বাদপুষ্ট বলে ধারণা করা হয়। প্রতিষ্ঠান দুটির সম্মিলিত সম্পদ ৮০০ কোটি ডলারেরও বেশি। এ ছাড়া বুধবার থেকে শুরু হওয়া নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে দেশটির ‘অভিজাত’ শ্রেণি এবং রাশিয়ার বেসামরিক নেতৃবৃন্দও।

উল্লেখ্য, রাশিয়ার বৈদেশিক লেনদেনের ৮০ শতাংশেরও বেশি ও বাণিজ্যের অর্ধেক লেনদেন পরিচালিত হয় মার্কিন ডলারে।

যুক্তরাজ্য
যুক্তরাজ্য রাশিয়ার পাঁচটি ব্যাংক ও ৩ ধনকুবেরের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা করেছে। তাঁরা হলেন, গেনাডি টিমচেঙ্কো, বরিস রোটেনবার্গ ও ইগর রোটেনবার্গ। রোটেনবার্গ এসজিএম গ্রুপের অন্যতম কর্ণধার। তার প্রতিষ্ঠান তেল ও গ্যাসের অবকাঠামো নির্মাণ করে। টিমচেঙ্কো বেসরকারি বিনিয়োগ সংস্থা ভলগা গ্রুপের মালিক।

অপরদিকে ব্যাংক পাঁচটি হলো, রাশিয়া ব্যাংক, আইএস ব্যাংক, জেনারেল ব্যাংক, প্রমজভ্যাজব্যাংক এবং ব্ল্যাক সি ব্যাংক।

জার্মানি
রাশিয়া থেকে গ্যাস বয়ে নিয়ে যাওয়া নর্ড স্ট্রিম-২ পাইপলাইনের কার্যক্রম স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছে জার্মানি। ১১.৬ বিলিয়ন ডলারের প্রকল্পটি রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন গ্যাস জায়ান্ট গ্যাজপ্রমের মালিকানাধীন।

ইউক্রেন
ইউক্রেনের সংসদ দেশটির বিচ্ছিন্নতাবাদী-নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলগুলির স্বাধীনতার স্বীকৃতিদানকারী ও পূর্ব ইউক্রেনে রাশিয়ান সেনা প্রবেশ সমর্থনকারী আইনপ্রণেতাসহ ৩৫১ রুশ নাগরিকের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।

নিষেধাজ্ঞার আওতায় ওই ব্যক্তিরা ইউক্রেনে কোনো ধরনের কার্যকলাপ করতে পারবেন না।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন
২৭ সদস্যের ইউরোপীয় ইউনিয়নও ইউক্রেনের মতোই একই ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। তাঁরাও ইউক্রেনের মতো একই শর্তারোপ করে ৩৫১ রুশ রাশিয়ান রাজনীতিবিদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে। তবে তাঁরা একই সঙ্গে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা ও ব্যাংকিং খাতের সঙ্গে জড়িত অন্যান্য আরও ২৭ কর্মকর্তা ও প্রতিষ্ঠানের ওপরও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।

জাপান ও অস্ট্রেলিয়া
জাপান ও অস্ট্রেলিয়াও ইউক্রেনের বিরুদ্ধে আগ্রাসনে জড়িত রুশ নাগরিকদের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিয়েছে। জাপানের নিষেধাজ্ঞার মধ্যে রয়েছে, জাপানে রাশিয়ান বন্ড ইস্যু নিষিদ্ধ করা, নির্দিষ্ট কয়েকজন রুশ নাগরিকের সম্পদ জব্দ করার পাশাপাশি জাপানে ভ্রমণ সীমাবদ্ধ করা।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *