আন্তর্জাতিক ডেস্ক :: আজারবাইজানের বাকু বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের এক বাংলাদেশি ছাত্রী খুন হয়েছেন বলে স্বজনরা জানিয়েছেন। বুধবার আজারবাইজান সময় সকাল ১০টার দিকে এই হত্যাকাণ্ড হয় বলে মেয়েটির ভাই ফরমান আলী জানান।
ওই দেশের বাংলাদেশি নাগরিকদের বরাত দিয়ে ফরমান আলী এ কথা জানান। তবে কী কারণে বা কারা হত্যা করেছেন সে বিষয়ে তিনি কিছুই জানাতে পারেননি।
মোসা. ফেরদৌসী খাতুন (৩৩) নামের এই শিক্ষার্থী রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলা সদরের কাঁঠালবাড়িয়া গ্রামের আবু বক্করের মেয়ে। এক বছর আগে তিনি আজারবাইজান গিয়েছিলেন।
ফরমান আলী বলেন, ফেরদৌসী ঢাকার একটি কলেজ থেকে স্নাতক (সম্মান) শেষ করেছেন। এরপর আইন বিষয়ে পড়তে গত বছর আজারবাইজানের বাকু বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। লেখাপড়ার পাশাপাশি সেখানকার একটি রেস্টুরেন্টে খণ্ডকালীন চাকরি নেন বলে ফরমান জানান।
তিনি বলেন, “সেখানকার বাংলাদেশিদের মাধ্যমে জেনেছি ওই রেস্টুরেন্টে যাতায়াতের সময় স্থানীয় কিছু বখাটে যুবক তাকে উত্ত্যক্ত করত। বুধবার সকালে দিকে কিছু যুবক রিয়াকে তুলে নিয়ে যায়। পরে তার হাত-পা ভাঙা লাশ উদ্ধার করা হয়।
“আজারবাইজানে বাংলাদেশি কনস্যুলেট নেই। এ কারণে ইরানে অবস্থিত বাংলাদেশের কনস্যুলেট থেকে কূটনৈতিক তৎপরতা চালানো হচ্ছে।”
ফেরদৌসীর বাবা আবু বক্কর বলেন, “ভাই-বোনের মধ্যে রিয়া সবার ছোট। অনেক কষ্টে আমাদের সংসার চলে। ছোট থেকেই মেয়েটার একটা স্বপ্ন ছিল সে ব্যারিস্টার হবে। আর আমাদের সকল কষ্ট দূর করবে। এখন তো সব শেষ।”
তিনি বলেন, “আমি গরিব মানুষ। খুনিকে শনাক্ত করা বা বিচার পাওয়ার কোনো আশা নেই। তাই সরকারের কাছে আকুল আবেদন জানাই অন্তত মেয়ের লাশটা যেন দেশে এনে আমাদের কাছে পৌঁছে দেয়।”
পুঠিয়া থানার ওসি সোহরাওয়ার্দী হোসেন বলেন, “এখানকার একটি মেয়ে বিদেশে হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন বলে শুনেছি। তবে এখনও প্রশাসনিকভাবে লিখিত কোনো তথ্য বা ভুক্তভোগী পরিবারের কেউ আমাদের কিছুই জানায়নি।”

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *