রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ বলেছেন, ‘যদি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ সংঘটিত হয়, তাহলে এতে পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহার হবে এবং সেটি হবে ধ্বংসাত্মক।’ এক সপ্তাহ ধরে প্রতিবেশী ইউক্রেনে আগ্রাসন চালিয়ে আসছে রুশ সামরিক বাহিনী। যার জেরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ রাশিয়ার বিরুদ্ধে উপর্যুপরি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে। বুধবার সেইসব নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে কথা বলার সময় তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের ব্যাপারে হুঁশিয়ারি দেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
লাভরভ বলেছেন, কিয়েভ পারমাণবিক অস্ত্রধারী হয়ে উঠলে তা রাশিয়াকে ‘প্রকৃত বিপদের’ সম্মুখীন করবে। যে কারণে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু হয়েছে।
গত সপ্তাহে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যুক্তি দেন ইউক্রেনে আগ্রাসনের শাস্তি হিসেবে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের একমাত্র বিকল্প তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের সূচনা। ওয়াশিংটন এবং তার পশ্চিমা মিত্ররা রাশিয়ার বিরুদ্ধে দফায় দফায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পর এই মন্তব্য করেন বাইডেন।
ইতোমধ্যে রাশিয়ার সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন ব্যাংক, কর্মকর্তা ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে পশ্চিমা বিশ্ব। এছাড়া পশ্চিমের অনেক দেশ ইতোমধ্যে রাশিয়ার জন্য তাদের আকাশসীমা বন্ধ ঘোষণা করেছে।
ইউক্রেনের বর্তমান পরিস্থিতির ব্যাপারে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লাভরভ বলেন, কিয়েভের সাথে দ্বিতীয় দফার বৈঠকের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে মস্কো। কিন্তু ওয়াশিংটনের নির্দেশে ইউক্রেন দূরে চলে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, আমরা দ্বিতীয় দফার আলোচনার জন্য প্রস্তুত। কিন্তু ইউক্রেনীয় পক্ষ যুক্তরাষ্ট্রের নির্দেশে সময়ক্ষেপণ করছে। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেশকভের মতো লাভরভও বলেন, রাশিয়ার প্রতিনিধিদল বুধবার সন্ধ্যায় আলোচনার স্থানে ইউক্রেনের আলোচকদের জন্য অপেক্ষা করবে।
এর আগে, রুশ প্রেসিডেন্টের সহযোগী ভ্লাদিমির মেডিনস্কি ইউক্রেনের সঙ্গে আলোচনায় প্রতিনিধি দলের প্রধান থাকবেন বলে নিশ্চিত করেন পেশকভ। গত সোমবার বেলারুশের গোমেল অঞ্চলে রাশিয়া ও ইউক্রেনের কর্মকর্তাদের মধ্যে প্রথম দফার বৈঠক অনুষ্ঠিত হলেও কোনো ধরনের চুক্তিতে পৌঁছানো যায়নি। তবে সংকটের সমাধানে দ্বিতীয় দফা আলোচনায় বসতে রাজি হয় উভয় পক্ষ।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *