সোহেল আহমদ :: কমলগঞ্জ উপজেলার আদমপুর ইউনিয়নের মধ্যভাগ বাজারে ইয়াবা দিয়ে মণিপুরি বিষ্ণুপ্রিয়া ফার্মেসী ব্যবসায়ী স্বপন কুমার সিংহকে ফাঁসানোর চেষ্টার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে কমলগঞ্জ থানার এসআই সিরাজুল ইসলাম ও কনষ্টেবল আফসার উদ্দীনকে প্রত্যাহার করে মৌলভীবাজার পুলিশ লাইনে সংযুক্তি করা হয়েছে।

 

 

রোববার রাতে মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপারের কার্যালয় হতে এ দুইজনকে প্রত্যাহারের নিদের্শ জারী করা হয়। কমলগঞ্জ থানার ওসি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ বিষয়ে সোমবার পত্রিকায় “ইয়াবা দিয়ে ফাঁসাতে গিয়ে অবরুদ্ধ তিন পুলিশ সদস্য” শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়।

 

 

উল্লেখ যে, গত শনিবার রাতে কমলগঞ্জ উপজেলার মধ্যভাগ বাজারের ফার্মেসী নিউ মেডিসিন কর্ণারে কমলগঞ্জ থানার এসআই সিরাজুল ইসলাম সিরাজ ও কনষ্টেবল আফসার উদ্দীন উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে নাপা সিরাপে ইয়াবা দিয়ে নিরিহ ফার্মেসী মালিক স্বপন কুমার সিংহকে আটকের চেষ্টাকালে উত্তেজিত স্থানীয় জনতা দুই পুলিশ সদস্যকে অবরোধ করে রাখার সংবাদ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ হয় এবং পাশাপাশি ওই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় পুলিশের উধ্বর্তন পর্যায়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।

 

 

বিক্ষুদ্ধ এলাকাবাসীও নিরিহ ব্যবসায়ীকে হয়রানীর বিষয়টি তদন্ত করে দোষী পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানান।

 

 

আলাপকালে কমলগঞ্জের লেখক-গবেষক আহমদ সিরাজ ও পরিবেশকর্মী নুরুল মোহাইমীন মিল্টন বলেন, এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে দুই পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হলেও ঘটনার পেছনে কার ইন্ধন রয়েছে সেটি খোঁজে বের করে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরী। শুধু পুলিশ সদস্যদের প্রত্যাহার করে পেছনের মদতদাতাদের চিহ্নিত না করায় স্থানীয় সচেতন মহলের মধ্যে নানা প্রশ্ন দেখা দেখা দিয়েছে।

 

 

পুলিশের এমন কান্ডের বিষয়টি এলাকায় আলোচিত হলে মৌলভীবাজার পুলিশ সুপারের কার্যালয় হতে ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হয়। ঘটনার সাথে পুলিশের সম্পৃক্ততা থাকার সত্যতা পাওয়ায় ২০ মার্চ রোববার রাতে ঘটনাস্থলে উপস্থিত ৩ পুলিশ সদস্যের মধ্যে এসআই সিরাজুল ইসলাম ও কনষ্টেবল আফসার উদ্দীনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্খা গ্রহনের অংশ হিসাবে থানা থেকে ওই দুই দোষী পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করে মৌলভীবাজার পুলিশ লাইনে সংযুক্তি করার আদেশ দেয়া হয়। প্রত্যাহারকৃত দুই পুলিশ সদস্য সোমবার সকালেই মৌলভীবাজার পুলিশ লাইনে যোগদান করেছেন বলে জানা গেছে।

 

 

কমলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ইয়ারদৌস হাসান দুই পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করার বিষয়টি স্বীকার করেছেন।

 

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *