ডায়ালসিলেট ডেস্ক::গত দেড় মাসে দেশে মোটা চালের দাম এক টাকাও বাড়েনি বলে দাবি কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক। সাংবাদিকদের উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘আজও পত্রিকা দেখছি। প্রতিদিনই আপনারা দেখাচ্ছেন। চালের দাম বেশি, অমুকের দাম বেশি। আমি কৃষিমন্ত্রী হিসেবে বলছি, গত দেড় মাসে মোটা চালের দাম ৪০ থেকে ৪৫ টাকা। দেড় মাসে এক টাকাও বাড়েনি। এটি পরিসংখ্যান দিয়ে বলছি।’ রোববার স্বাধীনতা দিব ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনাসভায় এ দাবি করেন কৃষিমন্ত্রী। ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) ওয়েবসাইটে দেয়া তথ্যমতে, ২৭শে মার্চ ঢাকায় মোটা চালের দাম ৪৫-৪৮ টাকা ছিল। সরু চাল ৬০-৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ১লা মার্চ মোটা চাল ৪৬-৫০ টাকায় এবং সরু চাল ৬২-৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। সরকার মোটা চাল কিনছে জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, এটার দর ৪০ টাকা। মিলাররা আমাদের কাছে এসে ধরনা দিচ্ছেন, ৪০ টাকায় চাল দেবো। যদি সরকার কিনতে পারে, তাহলে কি বাজারে ৪৫ টাকার বেশি হতে পারে? কোনো দিনই না। কৃষিমন্ত্রী বলেন, সরু চালের দাম ৬০-৬৮ টাকা। এর চাহিদাও অনেক। একজন নি¤œ আয়ের মানুষও আজ সরু চাল খেতে চায়। তাই সরু চালের কিছু ঘাটতি রয়েছে। এজন্য দামটা বেশি। স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি দাম বাড়ানোর গুজব সৃষ্টি করছে দাবি করে আবদুর রাজ্জাক বলেন, যারা পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিল, খাদ্যের জাহাজ ঘুরিয়ে দেশে কৃত্রিম দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি করেছিল, তারাই আবার ক্ষেত্র প্রস্তুত করছে। এ নিয়ে নেতাকর্মীদের সজাগ হওয়ার অনুরোধ জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, এই মুহূর্তে খাদ্য গুদামে দেশের ইতিহাসের সর্বোচ্চ মজুত রয়েছে। এটিই শেখ হাসিনার কৌশল ও দূরদর্শিতা। ১৯ লাখ টন খাদ্যশস্য মজুত রয়েছে। আমেরিকা ও ইউক্রেনের কাছ থেকে খাদ্য লাগবে না। নিজেদের মজুত দিয়েই সংকট মোকাবিলা করতে পারবো। অপরদিকে, পিয়াজ পচনশীল উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আমরা ইচ্ছে করলে উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পারি। কিন্তু সেপ্টেম্বর, অক্টোবর মাসে এটা পচে যায়। এ জন্য আমদানি করতে হয়। তখন দাম কিছুটা বাড়ে। দেশে পিয়াজের উৎপাদন বেড়েছে জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, এক-দেড় মাস আগে দাম কম ছিল। চাষিরা আমাকে ফোন করে বলেছেন, আমরা শেষ হয়ে গেলাম। তখন আমদানি বন্ধ করে দিলাম। এতে দাম একটু বেড়েছে। তখনই লেখালেখি শুরু হয়ে গেলো দাম ৬০-৭০ টাকা। আজ পিয়াজের পাইকারি দাম ৩০-৩৫ টাকা। খুচরা ৪০-৪৫ টাকা। তিনি বলেন, কেউ কেউ স্বপ্ন দেখছে রমজানের সময় পিয়াজের দাম বাড়ানোর নিউজ করে অস্থিতিশীলতা তৈরি করবে। তাদের বলছি, পিয়াজের দাম আরও কমবে। সারে সরকার বছরে ২৮ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিচ্ছে জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, প্রতিবছর ৮ থেকে ৯ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিতাম সারে। এবার দিচ্ছি ২৮ হাজার কোটি টাকা। এই টাকা কোথা থেকে আসবে? এটি জানেন প্রধানমন্ত্রী। মানুষের প্রতি উনার অপরিসীম দরদ। ওই ২৮ হাজার কোটি টাকার বেনিফিট কে পাবে? গুলশান, বনানীর মানুষ? না, পাবে গ্রামের সাধারণ কৃষক। গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি আলোচনার সভার সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ডায়ালসিলেট এম/

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *