স্পোর্টস ডেস্ক:: প্রথম চার ম্যাচে তিন জয়ের পর টানা পাঁচ পরাজয়ে প্লে-অফ খেলার সম্ভাবনা কমে আসছিল কলকাতা নাইট রাইডার্সের। সেরা চারে থাকতে জয়ের বিকল্প নেই তাদের সামনে। এমনই কঠিন সমীকরণের মধ্যে খেলতে নেমে রাজস্থান রয়্যালসকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে শাহরুখ খানের দল।
মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করা রাজস্থানের সংগ্রহ ছিল ৫ উইকেটে ১৫২ রান। যা কি না মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে ৫ বল আগেই টপকে গেছে কলকাতা। পাঁচ নম্বরে নেমে ২৩ বলে ৪২ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে দলের জয় ত্বরান্বিত করেছেন রিংকু সিং।
রান তাড়ায় শুরুটা মোটেও ভালো ছিল না কলকাতার। পাওয়ার প্লে’র মধ্যেই সাজঘরে ফিরে যান দুই ওপেনার অ্যারন ফিঞ্চ (৭ বলে ৪) ও বাবা ইন্দ্রজিত (১৬ বলে ১৫)। প্রথম ১০ ওভার শেষে কলকাতার সংগ্রহ দাঁড়ায় ২ উইকেট ৫৯ রান। অর্থাৎ শেষ ১০ ওভারের জন্য বাকি ছিল আরও ৯৩ রান।
সেখান থেকেই ঘুরে দাঁড়ানোর শুরু। অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ার ও বাঁহাতি নিতিশ রানা মিলে তৃতীয় উইকেটে যোগ করেন ৭.১ ওভারে ৬০ রান। দলীয় সংগ্রহ ১০০ হওয়ার আগেই সাজঘরে ফিরে যান শ্রেয়াস। তার ব্যাট থেকে আসে ৩২ বলে ৩৪ রান।

এরপর অবিচ্ছিন্ন চতুর্থ উইকেট জুটিতে মাত্র ৬.২ ওভারে ৬৬ রান যোগ করে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন নিতিশ ও রিংকু। শেষ তিন ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৩১ রান। ইয়ুজভেন্দ্র চাহালের ওভারে ১৩ ও প্রাসিদ কৃষ্ণার ওভারে ১৭ রান নিয়ে ম্যাচ বের করে ফেলেন এ দুজন।

পরে কুলদিপ সেনের করা শেষ ওভারের প্রথম বলে ছক্কা হাঁকিয়ে জয় নিশ্চিত করেন রানা। তিনি খেলেন তিন চার ও দুই ছয়ের মারে ৩৭ বলে ৪৮ রানের ইনিংস। অন্যদিকে ছয় চার ও এক ছয়ের মারে মাত্র ২৩ বলে ৪২ রান করে কলকাতার জয়ের নায়ক রিংকু সিং।
এর আগে কলকাতার আমন্ত্রণে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় রাজস্থান। ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই সাজঘরে ফিরে যান দেবদূত পাডিক্কাল, করেন ৫ বলে ২ রান। ফর্মে থাকা আরেক ওপেনার জস বাটলার ২২ রান করতে খেলেন ২৫টি বল।
এরপর তিন নম্বরে নেমে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৪ রানের ইনিংস খেলেন অধিনায়ক সানজু স্যামসন। তার ৪৯ বলের ইনিংসে ছিল সাত চার ও একটি ছয়ের মার। মিডল অর্ডারে করুন নায়ার ১৩ বলে ১৩ ও রিয়ান পরাগ খেলেন ১২ বলে ১৯ রানের ইনিংস।

শেষ দিকে এক চার ও দুই ছয়ের মারে ১৩ বলে ২৭ রানের অপরাজিত ঝড়ো ক্যামিও ইনিংস খেলে দলকে দেড়শ পার করিয়ে দেন শিমরন হেটমায়ার। রবিচন্দ্রন অশ্বিন অপরাজিত থাকেন ৫ বলে ৬ রান করে।
কলকাতার পক্ষে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন টিম সাউদি। তবে চার ওভারে ৪৬ রান খরচ করেন তিনি। এছাড়া ১টি করে উইকেট শিকার শিভাম মাভি, উমেশ যাদব ও অনুকূল রয়ের। কোনো উইকেট না পেলেও ৪ ওভারে মাত্র ১৯ রান দিয়েছেন সুনিল নারিন।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *