ডায়ালসিলেট ডেস্ক :: সিলেটের সুনামগঞ্জে বুধবার রাত ও বৃহস্পতিবার ভারী বর্ষণ হওয়ায় সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। ঠিক একইভাবে জকিগঞ্জেও বারোঠাকুরী এলাকায় বরাক মোহনায় সুরমা-কুশিয়ারা উৎসস্থলের ডাইক ভেঙে পানি ঢুকতে শুরু করেছে।
সুনামগঞ্জের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল অব্যাহত থাকায় জেলার সবক’টি ছোট বড় নদ-নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে পানিবন্দি মানুষের দুর্ভোগ বেড়ে চলেছে। পানি বাড়ায় বন্যায় প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকায় । বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মানুষ আশ্রয় নিচ্ছে।
জেলার ২টি উপজেলায় ১০টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে দুইশ’র বেশি পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সুনামগঞ্জ পৌর শহরের ষোলঘর পয়েন্টে সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ১৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে ও ছাতক উপজেলার সদরে সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ১৫৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ৫৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। একই সময় সুনামগঞ্জের উজানে ভারতের মেঘালয় ও চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টি হয়েছে ২১৯ মিলিমিটার। এ কারণে পাহাড়ি ঢল অব্যাহত রয়েছে।
ঠিত একই অবস্থা সিলেটের জকিগঞ্জে বারোঠাকুরী এলাকায়। সেখানে বরাক মোহনায় সুরমা-কুশিয়ারা উৎসস্থলের ডাইক ভেঙে প্রবল বেগে পানি ঢুকে প্লাবিত হচ্ছে উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা।
বৃহস্পতিবার (১৯ মে) দিনগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে ডাইকটি স্রোতের তোড়ে ভেঙে গেছে, এমনটি জানিয়ে এলাকায় মাইকিং করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
ডাইক ভাঙার সঙ্গে সঙ্গে বারোঠাকুরী, খাসিরচক, খাইরচক, বারোঘাট্টা, সোনাসার এলাকা ইতোমধ্যে প্লাবিত হয়েছে।
স্থানীয়রা আশঙ্কা করছেন, ডাইক ভাঙার কারণে সুরমা-কুশিয়ারার তীরবর্তী জকিগঞ্জ, বিয়ানীবাজার, কানাইঘাট, গোলাপগঞ্জ ফেঞ্চুগঞ্জ ও সিলেট শহরে বন্যার পানি বৃদ্ধি পাবে।