স্পোর্টস ডেস্ক :: সিলেটে মানবিক সহায়তা নিয়ে বন্যার্তদের পাশে দাঁড়িয়েছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল এমপি। তিনি শুক্রবার সিলেটের বিভিন্ন এলাকায় বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন।
দুপুরে সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে ব্যক্তিগত তহবিল থেকে এক হাজার মানুষের মাঝে চাল, ডাল, তেল, আলু, পেয়াজ, লবন, স্যালাইনসহ শুকনো খাবারের প্যাকেট বিতরণ করেন। এছাড়া আজই তিনি দক্ষিণ সুরমা ও বালাগঞ্জে আরো ২০০০ বন্যা দুর্গত মানুষের কাছে পৌঁছে দিবেন এ সহায়তা।
ত্রাণ বিতরণকালে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির কাজই অপরাজনীতি করা। তারা সহজ ও সোজা পথে হাটে না। তারা পদ্মা সেতুর মত দেশের এত বড় প্রকল্প নিয়েও ষড়যন্ত্রের চেষ্টা করেছিল। তবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সামনে তাদের সকল কুচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। এবার তারা বন্যার মত মানবিক বিপর্যয় নিয়ে অপরাজনীতি শুরু করেছে।’
তিনি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আপনাদের কোন ভয় নেই আমরা সবাই আপনাদের পাশে আছি। আমাদের মানবিক নেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আপনাদের মাঝে এসে মানবিক সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। আমি তার দেখানো পথেই আমার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে এ মানবিক সাহায্য পৌছে দিতে এসেছি। এ বিষয়ে আমার সহধর্মিণী খাদিজা রাসেল আমাকে বেশি সহযোগিতা করেছেন।’ যে সকল ক্রীড়া পরিবার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সে সকল পরিবারকেও সহায়তা করার আশ্বাস দেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী।
এ সময় তিনি প্রধানমন্ত্রী, তার পরিবার, নিজের পরিবার এবং দেশবাসীর জন্য দোয়া চান। ত্রাণ বিতরণ কালে সিলেটের জেলা প্রশাসক মজিবুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড. নাসির উদ্দিন খান, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাহিউদ্দিন সেলিমসহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সিলেটে বন্যার্তদের পাশে ক্রীড়াঙ্গনের অনেক ব্যক্তি ও সংস্থাই রয়েছে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) বন্যার্তদের ত্রাণ দিচ্ছে। বাফুফে সদস্য ও সিলেট জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাহিউদ্দিন আহমেদ সেলিমও বানভাসিদের জন্য কাজ করছেন। বাংলাদেশ অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুর রকিব মন্টু গত দুই দিন যাবত দুর্গতদের বাসায় গিয়ে গিয়ে শুকনো খাবার বিতরণ করছেন।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *