মনজু চৌধুরী: মৌলভীবাজারের বড়লেখা-কুলাউড়া আঞ্চলিক মহাসড়কের বিভিন্নস্থান দিয়ে এখনও বন্যার পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এতে সড়কের কিছুস্থানে বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। ফলে সড়কে ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলছে। এতে পানি ঢুকে যানবাহন বিকল হচ্ছে। যার কারণে চালক-যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এই সুযোগে অসাধু যানবাহন চালকরা অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে বলে যাত্রীরা অভিযোগ করছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে বড়লেখা-কুলাউড়া আঞ্চলিক মহাসড়কের বিভিন্নস্থান পানিতে তলিয়ে যায়। তবে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় সড়কের কিছু স্থান থেকে পানি নেমে গেছে। তবে এখনও তালিমপুর, রতুলী, দক্ষিণভাগ, হাতলিঘাট, বাছিরপুর, জুড়ী বাজার এলাকায় পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এতে সড়কে ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, এসবস্থানে কোথাও হাঁটু পানি। কোথাও হাটুর নিচে পানি। পানি মাড়িয়ে মানুষজন চলাচল করছেন। ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলছে। তবে ছোট যানবাহন খুবই কম চলাচল করছে। যেগুলো চলছে সেগুলোতে পানি ঢুকে বিকলও হচ্ছে। এতে চালক ও যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। কিছুস্থানে পানি নেমে যাওয়ায় বড় বড় গর্ত বের হয়েছে।
অটোরিকশা চালক হামিদ আহমদ বলেন, ‘বন্যার পানি উঠার পর দূরে কোথাও যাত্রী নিয়ে যাই না। আজকে যাত্রী নিয়ে বেরিয়ে বিপদে পড়েছি। কারণ সড়কের বেশ কিছুস্থানে পানি আছে। পানির কারণে সড়কে গর্ত তৈরি হয়েছে। গর্তগুলো দেখা যায়না। চলতে গিয়ে এসব গর্তে গাড়ি আটকে পড়ছে। এতে পানি ঢুকে গাড়ি বিকল হচ্ছে। পানিতে আমার জুতাজোড়াও ভেসে গেছে। বড় ঝামেলায় পোহাতে হচ্ছে।’
অটোরিকশা যাত্রী জামিল হোসেন বাবলু বলেন, ‘সড়কে বিভিন্নস্থানে এখনও পানি আছে। গাড়ি কম চলছে। গাড়ি চলতে গিয়ে যানবাহন চলছে। জরুরী প্রয়োজনে এক আত্মীয়ের বাড়িতে যেতে হচ্ছে। খুব ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
আরেক যাত্রী হাফিজুর রহমান বলেন, ‘সড়কে অনেক পানি। জরুরী প্রয়োজেন কুলাউড়ায় যেতে হচ্ছে। এখন বেরিয়ে বিপদে পড়েছি। অনেক কষ্টে একটি গাড়ি পেয়েছি। এখন অতিরিক্ত ভাড়া দিতে হচ্ছে।’
অটোরিকশা চালক কামাল আহমদ বলেন, ‘সড়কে গাড়ি চলছে না পানির কারণে। মানুষের কষ্ট দেখে গাড়ি নিয়ে বেরিয়েছি। গাড়িতে পানি ঢুকে নষ্ট হচ্ছে। তা ঠিক করতে টাকা লাগবে। একারণে যাত্রীদের কাছ থেকে একটু বেশি ভাড়া নিচ্ছি। এটা দোষের কিছু নয়।’

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *