বিনোদন ডেস্ক :: প্রতিদিন সকাল শুরু তার দরাজ কণ্ঠে সবার ঘুম ভাঙানো দিয়ে। ঠিক ২৭ বছর একই কাজ করে অভ্যস্ত মানুষটাই এই কাজ থেকে নিলেন বিরতি। দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে শহর কলকাতার ঘুম ভাঙত মীরের কণ্ঠে। ঠিক এই পেশা থেকেই বিরতি নেয়ার ঘোষণা দিলেন শুক্রবার। এবার থেকে রেডিও মির্চিতে আর তার কণ্ঠ শোনা যাবে না। মির্চি ছেড়ে দিলেন মীর!
প্রায় ২৭ বছরের সম্পর্ক ছিল মীর আর এই রেডিওর সঙ্গে। আর বিদায় মানেই তো বেদনার সুর। তাই তো বিদায়বেলায় কষ্ট যে হবে, বলাই বাহুল্য। মির্চি রেডিও চ্যানেলে মীর যোগ দিয়েছিলেন ১৯৯৪ সালের ৬ আগস্ট। সেই থেকে মীরের সুপ্রভাত বলা দিয়েই সকাল হতো কত যে মানুষের, তার ইয়ত্তা নেই।
আকাশবাণীর রেডিও স্টেশনে বসা তার প্রথম দিনের ছবি শেয়ার করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানেই তার আক্ষেপ, ‘কষ্ট হচ্ছে।’ শ্রোতাদেরও ধন্যবাদ জানিয়েছেন এতগুলো বছর তাকে শোনার জন্য। তবে পাশাপাশি মীর সাফ জানিয়ে দেন, ‘মির্চি ছেড়েছি। রেডিও নয়।’
তাহলে তার এ রকম লেখার ইঙ্গিত নতুন কোনো রেডিওতে নাকি অন্য কিছু। রেডিও ছাড়াও মঞ্চ, ছোট পর্দায় সঞ্চালনার পর বড় পর্দায়ও ক্রমেই নিজের আধিপত্য বিস্তার করেছেন মীর আফসার আলি। ছোটবেলা থেকে নানা ঘাত-প্রতিঘাত পেরিয়ে প্রতিষ্ঠা পেয়েছেন। দর্শকমহলে আলাদাই ফ্যানব্যাজ রয়েছে তার। রেডিওর পর ডিডি বাংলা চ্যানেলের নিউজ প্রোগ্রাম ‘খাস খবর’-এর মাধ্যমে প্রথম টেলিভিশন দর্শক দেখতে পায় মীরকে। তারপর ‘হাউ মাউ খাউ’, ‘বেটা বেটির ব্যাটল’, ‘মীরাক্কেল’-এর মতো জনপ্রিয় অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন তিনি। অভিনয়ের পাশাপাশি করেন সংগীতচর্চা।
-সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস
