আন্তর্জাতিক ডেস্ক :: দলীয় প্রধানের পদ ছেড়ে দেওয়া ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন নতুন মন্ত্রিসভাকে আশ্বাস দিয়ে বলেছেন, তিনি এখন নিছক তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কাজ করবেন। নতুন ওয়েলস বিষয়ক মন্ত্রী স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার বিকেলে একথা জানিয়েছেন।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর ডাউনিং স্ট্রিট বৃহস্পতিবার ১২ জন নতুন মন্ত্রীর নাম ঘোষণা করেছে। এতে গত দুদিনের ঢালাও পদত্যাগে শূন্য হওয়া কিছু পদ পূরণ হয়েছে।
নতুন দলীয় নেতৃত্বের জন্য সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বী পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস বলেছেন, নতুন নেতা না পাওয়া পর্যন্ত তার কনজারভেটিভ পার্টিকেই দেশের শাসনকাজ চালিয়ে যেতে হবে। তবে জনসনের দলেরই সাবেক প্রধানমন্ত্রী জন মেজর বলেছেন, ‘দেশের ভালোর জন্য’ জনসনের এখনই সরে যাওয়া উচিত।
প্রধান বিরোধীদল লেবার পার্টিও বলেছে, বরিস জনসনকে অবশ্যই অবিলম্বে পদ ছেড়ে দিতে হবে। এজন্য তারা পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোট আনার চেষ্টা করতে পারে।
পার্টিগেট কেলেঙ্কারিসহ নানা অভিযোগের চাপে জর্জরিত বরিস জনসন স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার দুপুরে কনজারভেটিভ দলের নেতার পদ থেকে পদত্যাগ করেন। এ ঘোষণা দেওয়ার সময় তিনি বলেন, ‘স্পষ্টতই এখন টোরি (কনজারভেটিভ দল) এমপিদের ইচ্ছা যে দলের একজন নতুন নেতা ও সেই সূত্রে নতুন প্রধানমন্ত্রী হওয়া উচিত। ’
বরিস জনসন দলে তার উত্তরসূরি নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে থাকার অঙ্গীকার করেছেন। তবে তার নিজ দলেরই ক্রমবর্ধমান সংখ্যক এমপি বলছেন তাকে এখন ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিট ছাড়তে হবে।
মঙ্গলবার বিকেলে অর্থমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রীর মত দুই গুরুত্বপূর্ণ ক্যাবিনেট সদস্য প্রধানমন্ত্রীর ওপর আর আস্থা নেই বলে পদত্যাগ করলে মন্ত্রিসভা ও সরকারের সহযোগীদের মধ্যে পদত্যাগের হিড়িক পড়ে। পরদিন বুধবার সন্ধ্যায় কয়েকজন ক্যাবিনেট সদস্য প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে তাকে পদত্যাগের আহ্বান জানান। তবে তিনি এতে সম্মত হননি। বৃহস্পতিবার সকালের মধ্যে পদত্যাগকারী মন্ত্রী ও কর্মকর্তার সংখ্যা ৫০ ছাড়িয়ে যাওয়ার পর দুপুরে দলীয় প্রধানের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন বরিস জনসন।
-সূত্র: এএফপি, বিবিসি
