স্টাফ রিপোর্টার॥ জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট-এনডিএফ মৌলভীবাজার জেলা শাখার পক্ষ থেকে ৮ জুলাই শুক্রবার বিকেলে কুলাউড়া পৌর এলাকায় বন্যাকবলিত পানিবন্দী ৮০ টি শ্রমজীবী পরিবারের মধ্যে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়। ঈদ উপলক্ষে সেমাই, চিনি, ময়দা, নুডুলস, তেল ও আলু বিতরণ করা হয়। ত্রাণ বিরতণকালে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট-এনডিএফ মৌলভীবাজার জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রজত বিশ্বাস, ধ্রুবতারা সাংস্কৃতিক সংসদ মৌলভীবাজার জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক অমলেশ শর্ম্মা, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ মৌলভীবাজার জেলা কমিটির সহ-সভাপতি মোঃ সোহেল মিয়া, হোটেল শ্রমিক ইউনিয়ন জেলা কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি আবুল কালাম ও কুলাউড়া উপজেলা কমিটির সভাপতি মোঃ ছায়েদ মুন্সী, মৌলভীবাজার জেলা রিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি মোঃ গিয়াসউদ্দিন।
ত্রাণ বিতরণকালে দীর্ঘ ২০ দিন যাবত কুলাউড়া, জুড়ী ও বড়লেখা উপজেলার কয়েক হাজার মানুষের অবর্ণীয় দূর্ভোগের কথা উল্লেখ করে নেতৃবৃন্দ বলেন স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় সিলেট-সুনামগঞ্জ জেলার পাশাপাশি মৌলভীবাজার জেলায়ও ব্যাপক এলাকা বন্যাকবলিত হয়। বিভিন্ন এলাকা থেকে কিছুটা বন্যার পানি নেমে গেলেও কুলাউড়া উপজেলা কমপ্লেক্সসহ পৌর এলাকা, জুড়ী ও বড়লেখায় দীর্ঘস্থায়ী জলাবদ্ধতার তৈরি করেছে। এই জলাবদ্ধতার কারণ হচ্ছে ড্রেন, খাল বন্ধ করার পাশাপাশি নদী ও হাওরেরর পানি ধারণক্ষমতা কমে যাওয়া। প্রায় প্রতিবছরই আমাদের দেশে বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস ইত্যাদির জন্য জান-মাল ফসলের ক্ষতি সাধিত হচ্ছে। বলা হচ্ছে এর জন্য দায়ী জলবায়ু পরিবর্তন। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তন কিসের জন্য, সে কথাটি আড়াল করা হচ্ছে। এই পরিবর্তনের জন্য দায়ী সাম্রাজ্যবাদ ও তার দালাল সরকারের শাসন-শোষণ। আমাদের দেশসহ যে সকল দেশে মেগা উন্নয়ন চলছে, তার মূল কাজ হচ্ছে এসডিজি অর্থাৎ সাম্রাজ্যবাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা। আর এ সমস্ত মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের কারণেই প্রকৃতি, জলবায়ুর বিরূপ পরিবর্তন হচ্ছে। অথচ বন্যা, জলোচ্ছ্বাস ঘুর্ণিঝড় থেকে উদ্ধারের জন্য নেই কোনো বাস্তব ভিত্তিক কর্মসূচি। স্থায়ী সমাধানের জন্য নেই কোনো কার্যকর পরিকল্পনা। এর বিপরীতে আছে বিদেশি ঋণের বোঝা জনগণের ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়া। বন্যা সমস্যা সমাধানের জন্য প্রয়োজন নদ-নদী খনন। অথচ বন্যা সমস্যা সমাধানে সরকারের নেই কোন কার্যকর পরিকল্পনা। এর বিপরীতে আছে বিদেশি ঋণের বোঝা জনগণের ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়া। বন্যা সমস্যা সমাধানের জন্য প্রয়োজন নদ-নদী খনন। হাওর অঞ্চলের বন্যা রোধে সুরমা, কুশিয়ারা, মনু, খোয়াই, ধরলা নদীসহ পাহাড়ি নদ-নদী উপনদীগুলো খনন করতে হবে।