বিনোদন ”স্কুল, ক্লাস আর হোমওয়ার্ক নিয়ে ব্যস্ত থাকা তনয়ার জীবন স্বাভাবিক গতিতেই চলছিল। তারপর একদিন স্কুল ছুটির পর বাসার পরিবর্তে সে নিজেকে আবিষ্কার করে হোটেল রুমে। সেখান থেকে থানা হয়ে নিজের বাড়িতে। বাড়িতে ফিরলেও সেই বাবা-মায়ের কাছে আর ফেরা হয়নি। যারা এতদিন আদরে-ভালোবাসায় আগলে রেখেছিল তাকে। এভাবে তনয়ার গন্তব্য পাল্টাতেই থাকে। পাল্টে যায় সমাজ-বাস্তবতা। বাস্তব ঘটনা অবলম্বনে ইমরাউল রাফাত নির্মাণ করেছেন চরকি ফ্লিক ‘তনয়া’। আজ রাত ৮টায় মুক্তি পাবে কন্টেন্টটি। তনয়া মূলত একটি মেয়ের সমাজ বাস্তবতার ভয়ঙ্কর প্রভাবের সঙ্গে যুদ্ধ করে যাওয়ার গল্প। নাম চরিত্রে দেখা যাবে মাখনুন সুলতানা মাহিমাকে। তনয়ার মাধ্যমে চরকিতে অভিষেক ঘটছে তার। শক্তিমান অভিনেতা ফজলুর রহমান বাবু ‘খাঁচার ভেতর অচিন পাখি’র পর আবার চরকিতে ফিরছেন ‘তনয়া’র বাবার চরিত্রে। ‘তিথির অসুখ’-এরপর চরকিতে ইমরাউল রাফাতের দ্বিতীয় পরিচালনা হলো ‘তনয়া’। ‘তনয়া’ নিয়ে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে মাখনুন সুলতানা মাহিমা বলেন, প্রথমে তনয়ার গল্প শুনেই আমি খুব অবাক হয়েছি এটা ভেবে যে, এটা একটা সত্যি ঘটনা। একটা মেয়ের জীবনে এরকম অঘটন ঘটে গেছে। বর্তমানে কোনো ঘটনা ঘটলে আমরা খুব সহজেই জাজ করে ফেলি। কিন্তু সেই ঘটনার সত্যটা আমরা কেউ যাচাই করতে যাই না। তনয়া চরিত্রটা এখন পর্যন্ত আমার করা সবথেকে কঠিন চরিত্র। অভিনয় করার সময়ই আমার কেমন যেন মনে হচ্ছিল। তাহলে যিনি এই পরিস্থিতির স্বীকার হয়েছেন তার পরিস্থিতি কী হয়েছিল। সেইসঙ্গে বাবু আঙ্কেলের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতাটা ছিল আমার জন্য আরও আনন্দের। বাবু আঙ্কেল, পরিচালক রাফাত ভাইসহ সবাই আমাকে কাজটা করতে যেভাবে হেল্প করেছেন তা আসলে বর্ণনাতীত। তনয়া’র মতো গল্পে কাজ করতে পেরে অন্য রকম ভালো লাগা কাজ করছে। ‘তনয়া’তে ফজলুর রহমান বাবু, মাখনুন সুলতানা মাহিমার সঙ্গে আরও দেখা যাবে এস এস জায়ান, শামীমা নাজনীনসহ অনেককেই।

ডায়ালসিলেট এ/

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *