বিয়ানীবাজার প্রতিনিধি :: বিশিষ্ট কবি ও বিয়ানীবাজার প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফজলুল হক আর নেই। মঙ্গলবার বিকেলে সিলেট নগরীর নিজ বাসায় তিনি মারা গেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যু কালের তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। তিনি ২ ছেলে, ১ মেয়ে স্ত্রীসহ অসংখ্য আত্মীয়স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
কবি ফজলুল হক একজন শক্তিমান কবি হিসেবে সর্বত্র খ্যাতি অর্জন করেন। তিনি বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ থেকে অবসর গ্রহণ করেন।
এদিকে, কবি ফজলুল হকের মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছে বিয়ানীবাজার প্রেসক্লাব। সংগঠনের সভাপতি সজীব ভট্টাচার্য্য ও সাধারণ সম্পাদক মিলাদ মো. জয়নুল ইসলাম এক বিবৃতিতে জানান, কবি ফজলুল হকের মৃত্যুতে সাংবাদিক সমাজ এক গুণী অভিভাবককে হারিয়েছে। এই শূন্যতা পূরণ হবার নয়।
উল্লেখ্য, ১৯৬১ সালের ১ সেপ্টেম্বর সিলেট জেলার প্রাচীনতম জনপদ পঞ্চখণ্ডের (বর্তমান বিয়ানীবাজার উপজেলা) কসবা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
ফজলুল হক কবিতা লেখার পাশাপাশি লিখেছেন গদ্য ও গীতিকবিতা। তিনি বাংলাদেশ বেতারের খ্যাতিমান গীতিকার। একজন প্রগতিশীল সংস্কৃৃতিকর্মী ও সাংবাদিক হিসেবে তার সুনাম আছে। কবিতা ও গদ্য রচনায় রয়েছে তার নিজস্ব বৈশিষ্ট্য। তার প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘পৃথক দংশন’, ‘কবির জন্মদিন’, ‘শঙ্খ ঘোষের সঙ্গে নির্বাসনের দিনে’। সম্পাদনা গ্রন্থ ‘তপোধীর ভট্টাচার্য :জীবন ও কর্ম’ ইত্যাদি।
আশির দশকের বাংলাদেশের সমকালীন কবিতার এই অগ্রণী কবির কবিতা রচনার মূল বিষয়বস্তু হলো বর্ণময় গ্রাম ও শহর। ঢাকা ও কলকাতা থেকে প্রকাশিত পত্রপত্রিকা এবং সাহিত্য সংকলন ও সাময়িকীতে নিয়মিত তার লেখা প্রকাশিত হয়। দার্শনিক পণ্ডিত রঘুনাথ শিরোমণি, শ্রীচৈতন্য পার্ষদ শ্রীবাস পণ্ডিত, কবি বৃন্দাবন দাস, মহেশ্বর ন্যায়লঙ্কার, শহীদ বুদ্ধিজীবী ড. জি সি দেব ও কবি তাত্ত্বিক অধ্যাপক ড. তপোধীর ভট্টাচার্য প্রমুখের জন্মভূমি পিতৃভূমি পঞ্চখণ্ডের মনীষা ও পরম্পরার নিকটতম প্রতিনিধি এই কবি।
