স্পোর্টস ডেস্ক :: তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১৭ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। ক্রেইগ আরভিনদের দেওয়া ২০৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশ থামে ৬ উইকেটে ১৮৮ রানে।
হারারেতে শনিবার টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ওয়েসলি মাদহেভেরে ও সিকান্দার রাজার ফিফটিতে ৩ উইকেটে ২০৫ রান করে জিম্বাবুয়ে। শুরুটা অবশ্য ভালো হয়নি স্বাগতিকদের। ১৫ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন মোস্তাফিজুর রহমান। ১১ বলে ৮ রান করে নাজমুল হোসেন শান্তর ক্যাচে ফেরেন রেগিস চাকাভা।
তিনে এসে শুরু থেকে আগ্রাসী মেজাজে ব্যাটিং করেন মাদহেভেরে। এক প্রান্তে আরভিন অন্য প্রান্তে মাদহেভেরে মিলে দ্রুত রান তোলায় মনোযোগ দেন। তাঁদের ২৮ রানের জুটি ভাঙেন মোসাদ্দেক হোসেন। ২১ রান করে ফেরেন স্বাগতিক অধিনায়ক।
চতুর্থ উইকেটের জুটিতে মাদহেভেরের সঙ্গে দারুণ ব্যাটিং করেন শন উইলিয়ামস। দলীয় রান দ্রুত এগিয়ে নেন এই দুই ব্যাটার। তাঁদের ৫৬ রানের জুটি ভাঙলে ফেরেন উইলিয়ামস (১৯ বলে ৩৩)। মোস্তাফিজের স্লোয়ার বুঝতে না পেরে বোল্ড হন তিনি।
তিন উইকেট হারালেও বাংলাদেশের বোলারদের ওপর তোপ ঝাড়েন মাদহেভেরে। তাকে দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন সিকান্দার রাজা। ৩৭ বলে ক্যারিয়ারের সপ্তম ফিফটি তোলে নেন মাদহেভেরে। চতুর্থ উইকেটের রাজার সঙ্গে ঝড় তোলেন তিনি। ২৩ বলে ফিফটি তোলেন রাজাও। শেষ ওভারে চোটে রিটার্ড-হার্ট হন মাদহেভেরে। তবে ঝোড়ো ব্যাট করা রাজার ৬৫ রানের অপরাজিত ইনিংসে বড় সংগ্রহ পায় জিম্বাবুয়ে। দুজনের ৯১ রানের জুটিতে টি-টোয়েন্টি সংস্করণে নিজেদের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ও বাংলাদেশের বিপক্ষে দলীয় সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়ে স্বাগতিকেরা।
জবাব দিতে নেমে শুরুতে ওপেনার মুনিম শাহরিয়ারকে হারায় নতুন চেহারার বাংলাদেশ। তবে লিটন দাস ও এনামুল হক বিজয় দলের রানের চাকা সচল রাখেন। দুজনে গড়েন ৩৩ বলে ৫৮ রানের জুটি। এই জুটি ভাঙেন লিটন ১৯ বলে ৩২ রানে রানআউটের শিকার হলে। ক্রেইগ উইলিয়ামসের বলে শট ফাইন লেগে ক্যাচ তোলেন বাংলাদেশি ওপেনার। বলটি ঠিকভাবে তালুবদ্ধ করতে ব্যর্থ হন রিচার্ড এনগারাভা। আউট ভেবে উইকেট ছেড়ে বেরিয়ে আসেন লিটন। ততক্ষণে প্রান্ত বদলে নিয়েছেন বিজয়। কিন্তু অপর প্রান্তে লিটনকে রান আউট করে উইলিয়ামস। কিছুক্ষণ টিভি রিপ্লে দেখার পর লিটনকে আউট দেন টিভি আম্পায়ার।
লিটনের বিদায়ের পর ২৭ বলে ২৬ রান করে ক্যাচ তোলে দেন বিজয়। নাজমুল হোসেন হোসেনের ৩৭ ও আফিফ হোসেনের ১০ রান লড়াইয়ে রেখেছিল বাংলাদেশকে। কিন্তু বলের চেয়ে রানের ব্যবধান বাড়তে থাকে। অধিনায়ক-উইকেটরক্ষক নুরুল হাসান সোহান এসে দ্রুত রান তোলায় মনোযোগ দিলেও হার এড়াতে পারেনি বাংলাদেশ। মোসাদ্দেক (১৩) প্রয়োজনের সময় জ্বলে উঠতে পারেননি।
শেষ ওভারে জয়ের জন্য বাংলাদেশের দরকার ছিল ২৮ রান। চেষ্টা করেও দলকে জেতাতে পারেননি সোহান। ২৬ বলে ৪২ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। নেতৃত্বের প্রথম ম্যাচে হারের স্বাদ পেলেন সোহান। সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল জিম্বাবুয়ে।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *