ডায়ালসিলেট ডেস্ক :: আওয়ামী লীগ সরকারকে অবিলম্বে ক্ষমতা ছেড়ে নির্দলীয়, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ক্ষমতা দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন আওয়ামী লীগ দেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। তারা ১০ টাকায় চাউল খাওয়ানার কথা বলে ক্ষমতায় এসে আপনারা এখন ২২ টাকা কেজি সার বিক্রি করছেন। আর চাউলের দামতো আকাশচুম্বি। আপনারা জনগণের সাথে প্রতারণা করছেন। প্রতারণা করে জনগণের অধিকার ধ্বংস করেছেন। বেশিদিন ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না।
বৃহস্পতিবার (১১জুলাই) জ্বালানী তেলের মূল্য ও সকল নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদ ও ভোলা জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নূরে আলম, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আবদুর রহিমকে হত্যার প্রতিবাদে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ-উত্তর আয়োজিত সমাবেশে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এসময় মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ঘরে ঘরে চাকরি দেওয়ার নামেও প্রতারণা করছে। বাক স্বাধীনতা ও সংবাদত্রের স্বাধীনতা হরণ করে গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা করছে। আপনারা অবিলম্বে ক্ষমতা ছেড়ে দিন। জনগণের ক্ষমতা জনগণকে বুঝিয়ে দিন। বর্তমানে এ সরকার রোহিঙ্গা ক্যাম্প নজরদারিতে রাখার জন্য ইরান থেকে ২১০০ ড্রোন কিনেছে যা তারা আসলে রোহিঙ্গাদের নজরদারির জন্য ড্রোন কিনেনি। সার্বক্ষণিক বিরোধী দলকে মনিটরিং করতেই তারা ড্রোন কিনেছে।
পুলিশ বাহিনী ও প্রশাসনের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ভুলে যাবেন না যে আপনারা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারি। আপনারা কোন বিশেষ দলের কর্মচারি নন। আপনাদেরকে কোন দলের পক্ষে কাজ না করে জনগণের জন্য কাজ করতে হবে।
জ্বালানী তেলের দাম বাড়ানোর ফলে সরকার আরও বেশি আমদানি করার সুযোগ পেয়েছে এতে করে চুরি করারও সুযোগ হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। এখন পর্যন্ত ৭৮হাজার কোটি টাকা পাচার করা হয়েছে। কিভাবে কারা এত টাকা পাচার করেছে তা খুঁজে বের করুন।
গত ৭ বছরে ২৭০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয় হয়েছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন বাংলাদেশ ব্যাংকে আয়ের হিসাব আছে আছে ২৪০ বিলিয়ন ডলারের। বাকি ৩০ বিলিয়ন ডলার কোথায় আছে তা জনগন জানতে চায়৷ আজকের শান্তিপূর্ণ সমাবেশকে সরকার ভয় পেয়েছে এজন্য তারা সমাবেশে আসার পথেও নেতাদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের এত ভয় কেন? আমরাতো শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছি। আপনারা যত গুম, খুন করেছেন এসব বিচার করতে হবে। হত্যার বিচার করতে হবে।
আমাদের নেতা, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে যুব সমাজ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। যুব সমাজকে জেগে উঠতে হবে। নতুন করে দেশকে স্বাধীন করতে হবে। লড়াই শুরু হয়েছে, বেঁচে থাকার লড়াই। আঠার কোটি মানুষকে বেঁচে থাকার লড়াই করতে হবে।