গত মে মাসে সিলেটে অবৈধ বেসরকারি ক্লিনিক, হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ব্লাড ব্যাংকের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হয়। এতে মহানগরীসহ জেলার বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান বন্ধের পাশাপাশি কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানাও করা হয়। এ সময় লাইসেন্স নবায়ন ও কাগজপত্র ঠিক করার শর্তে অভিযান কিছুটা শিথিল করা হয়েছিলো। তবে প্রতিষ্ঠান পরিচালনার সব শর্ত এখনো অনেক প্রতিষ্ঠান মানেনি। এ জন্য সিলেটে ফের শুরু হচ্ছে এসব অবৈধ হাসপাতাল ও ক্লিনিকের বিরুদ্ধে অভিযান।

এ বিষয়ে গত বুধবার রাতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের সঙ্গে অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল মিটিংয়ে সিলেটের সিভিল সার্জন, সকল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাদের নির্দেশনা প্রধান করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। বিষয়টি রোববার নিশ্চিত করেছেন সিলেট জেলার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. জন্মেজয় দত্ত।

তিনি জানান, গত অভিযানে ২৫টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়। এরমধ্যে ১০টি প্রতিষ্ঠান শর্ত পূরণ করে নিবন্ধনের আওতায় চলে আসে। বাকীগুলো কোন অবস্থায় আছে তা অভিযান চালালেই বুঝা যাবে।

সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানায়, ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে সিলেটে অবৈধ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযানে নামছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। এ সপ্তাহেই শুরু হচ্ছে অভিযান। এর আগে চলতি বছরের মে মাসে অভিযানের পর প্রথম কয়েক দিন লাইসেন্স নবায়ন করার, নতুন লাইসেন্স নেওয়ার যে তোড়জোড় ছিলো। কিন্তু তার গতি এখন ধীর। সেটি সক্রিয় করার জন্য আবার অ্যাকশনে যাবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, লাইসেন্স নিয়ে ১৯৮২ সাল থেকে চিকিৎসাসেবা দিয়ে আসছে বিভিন্ন বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবাপ্রতিষ্ঠান। তবে একবার নিবন্ধন নিয়ে অনেক প্রতিষ্ঠান আর তা নবায়ন করেনি। অনেক প্রতিষ্ঠান শুরুতে ১০ শয্যার অনুমোদন নিলেও পরে শয্যা বাড়ালে তা স্বাস্থ্য অধিদফতরকে জানায়নি। অনেকে শয্যার সঙ্গে সংগতি রেখে বাড়ায়নি জনবল। সেসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযানে নামছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *