হবিগঞ্জ প্রতিনিধি :: বাহুবলের মাদ্রাসা থেকে নিখোঁজের দশদিন পর তিন ছাত্রকে চট্টগ্রাম থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রামের সদরঘাট এলাকা থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়।
শনিবার বাহুবল মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) প্রজিত কুমার দাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে তারা কি কারণে নিখোঁজ হয়েছিল, তা জানা যায়নি।
গত ১৯ সেপ্টেম্বর বাহুবল উপজেলার জামেয়া মাহমুদিয়া হামিদনগর মাদ্রাসা থেকে তারা নিখোঁজ হয়। উদ্ধার হওয়া ছাত্ররা হলো- বাহুবল উপজেলার উত্তরসুর গ্রামের হাফেজ আব্দুস শহীদের ছেলে জাকারিয়া মিয়া (১৩), নিজগাঁও গ্রামের পাকু মিয়ার ছেলে আব্দুল ওয়াহিদ (১৪) ও হবিগঞ্জ সদর উপজেলার পূর্ব কাটাখালী গ্রামের মৃত ফিরোজ আলীর ছেলে রাহিম উদ্দিন (১৪)।
বাহুবল মডেল থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) আশিস চন্দ্র তালুকদার বলেন, ‘গত ২৯ সেপ্টেম্বর দুপুরে ওই তিন ছাত্র চট্টগ্রামের সদরঘাট এলাকায় মালপত্র তোলার কাজ করে। একপর্যায়ে তারা খাবারের জন্য কান্নাকাটি শুরু করে। এসময় আল আমিন নামে এক ব্যক্তি তাদের সাথে কথা বলে স্থানীয় থানায় খবর দেন।’
পরিদর্শক (তদন্ত) প্রজিত কুমার দাশ বলেন, ‘পুলিশ তাদের উদ্ধার করে বাহুবল থানাকে অবগত করে। ওইদিন রাতেই বাহুবল থানার পুলিশ তাদের চট্টগ্রাম থেকে নিয়ে আসে। বর্তমানে তিন ছাত্র তাদের অভিভাবকের কাছে রয়েছে।’
গত ১৯ সেপ্টেম্বর দুপুর থেকে ওই তিন মাদ্রাসা ছাত্র নিখোঁজ হয়। নিখোঁজের ৩ দিন পর ২২ সেপ্টেম্বর বাহুবল মডেল থানায় তিন ছাত্রের অভিভাবক পৃথক তিনটি জিডি করেন।
জিডি সূত্রে জানা যায়, গত ১৯ সেপ্টেম্বর জাকারিয়া মিয়া, আব্দুল ওয়াহিদ ও রাহিম উদ্দিন মাদ্রাসা থেকে নিখোঁজ হয়। তাদেরকে খুঁজে না পেয়ে মাদ্রাসার পক্ষ থেকে অভিভাবকদের বিষয়টি জানান। তাৎক্ষণিক জাকারিয়া, ওয়াহিদ ও রাহিমের অভিভাবকরা তাদের নিজ নিজ আত্মীয়-স্বজনসহ সম্ভাব্য সকল স্থানে খোঁজাখুজি করে তাদের কোন সন্ধান পাননি। পরে ২২ সেপ্টেম্বর নিখোঁজ জাকারিয়ার পিতা হাফেজ আব্দুস শহিদ, ওয়াহিদের পিতা পাকু মিয়া ও রাহিম উদ্দিনের বড় ভাই সাইদ আহমদ বাদী হয়ে বাহুবল মডেল থানায় পৃথক ৩টি জিডি করেন।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *