উপজেলা পরিষদ নির্বাচন

জগন্নাথপুর প্রতিনিধি :: শতাব্দীর সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যার কারণে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে গত ২০ জুন নির্বাচন স্থগিত করা হয়। গত ২০ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ২ নভেম্বর ভোট গ্রহণ হবে। এবার প্রথম এই উপজেলায় ইভিএম- এর মাধ্যমে ভোট গ্রহণ হবে।
উপজেলার গ্রামগঞ্জ, হাট-বাজারের আনাচে কানাচে ভোটারদের মাঝে চলছে নানা বিশ্লেষণ। তারা হিসেব শুরু করেছেন ভালোবাসার প্রার্থীদেরকে নিয়ে। উঠে আসছে কে কত যোগ্য আর ভোটারদের সেবা প্রদান করতে পারবেন- এমন দক্ষ প্রার্থী নিয়েই চলছে নানা গুঞ্জন। সেই সাথে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে চলছে প্রচারণা। দিন যত কাছে আসছে আলোচনা-সমালোচনা তত বাড়ছে। জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কে পাবেন নৌকার টিকিট? ইতোমধ্যে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা বাণী, দোয়া কামনাসহ নানা প্রচার চলছে। তবে এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত হয়নি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চেয়ারম্যান প্রার্থী।
জগন্নাথপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জানান, ৫ বছর মেয়াদপূর্তিতে. গত ৬ জুন উপজেলা নির্বাচনের প্রথম তফসিল ঘোষণা করা হয়। ঘোষিত তফসিল অনু্যায়ী ২৭ জুলাই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলে ১৫ জুন জগন্নাথপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আকমল হোসেন এর সভাপতিত্বে এক জরুরী কর্মীসভায় ৫ জনের নাম জেলা আওয়ামীলীগের কাছে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়।
তারা হলেন উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আকমল হোসেন, সাবেক উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি নুরুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম,সাবেক সহ সভাপতি হারুন রাশীদ,শিক্ষা ও মানবসম্পদ সম্পাদক মিন্টু রঞ্জন ধর। ইতিমধ্যে তারা দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। এছাড়াও সিলেট জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাবিনা আনোয়ার ও মনোনয়ন সংগ্রহ করেন। তাদের মধ্যে দলীয় মনোনয়ন যে পাবেন তিনি নির্বাচন করবেন। অন্যরা বিদ্রোহী প্রার্থী না হলেও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুক্তাদীর আহমেদ স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিতে মাঠে রয়েছেন।
উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ঘিরে বন্যার সময় দুই থেকে তিনজন প্রার্থী দেখা গেলেও অনেক প্রার্থী মাঠ পর্যায়ে এসে জনসাধারণের খবর না নেওয়ায় বিষয়টা সবার মুখে মুখে আলোচিত হচ্ছে। এবার বন্যায় জমিয়ত নেতা সৈয়দ তালহা আলম সুনামগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মাওলানা শাহিনুর পাশা চৌধুরীকে নিয়ে বিভিন্ন মাধ্যম থেকে সরেজমিন উপস্থিত থেকে প্রায় এক কোটি টাকা সমপরিমাণের ত্রাণ ও নগদ অর্থ বিতরণ করেন। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের মধ্যে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মুক্তাদীর আহমদ মুক্তা বিভিন্ন স্থান থেকে অর্থ সংগ্রহ করে সামাজিক সংগঠনের মাধ্যমে ও নিজে পুরো বন্যার সময় রান্না করা খাবার, শুকনো খাবারসহ ত্রাণসামগ্রী প্রদান করে জনগণের পাশে থেকে কাজ করে গেছেন।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেতে আগ্রহী প্রার্থীরা দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার জন্য তারা উপর মহলে দৌড়ঝাঁপ শুরু করে দিয়েছেন। তবে দল থেকে যাকে মনোনয়ন দেওয়া হবে তার পক্ষেই সকলে কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন দলের নেতাকর্মীরা। চূড়ান্তভাবে কে হচ্ছেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদের প্রার্থী সেদিকেই তাকিয়ে আছেন এখানের ভোটাররা।
নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ২ নভেম্বর ভোট গ্রহণ হবে। মনোনয়নপত্র বাছাই ১০ অক্টোবর আর প্রার্থীতা প্রত্যাহার ১৭ অক্টোবর। এবার প্রথম ইভিএম এর মাধ্যমে ভোট গ্রহণ হবে।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *