সদস্য পদে নির্বাচিত হলেন যারা
ডায়াল সিলেট রিপোর্ট :: কোনো ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই সিলেট জেলা পরিষদের ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। আমেজবিহীন নির্বাচন হলেও সোমবার সকাল ৯টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত ভোটাররা শান্তিপূর্ণভাবে ভোট প্রদান করেন। এবারই প্রথম প্রতিটি কেন্দ্রে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। তাছাড়া বিশৃঙ্খলা এড়াতে ঢাকা থেকে ভোটগ্রহণ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষন করেছে ইসি।
প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় আগেই চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান। ফলে সোমবার শুধু সাধারণ ও সংরক্ষিত সদস্য পদে ভোটগ্রহণ হয়েছে।
ভোটগণনা শেষে বেসরকারিভাবে প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী জেলা পরিষদের ১নং ওয়ার্ডে (সদর উপজেলা) সাধারণ সদস্য পদে মাওলানা মো. মোছাদ্দিক আহমদ বৈদ্যুতিক পাখা প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৪৯ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. তাইনুল ইসলাম আছলাম টিউবওয়েল প্রতীকে পেয়েছেন ৩৪ ভোট।
২নং ওয়ার্ডে (দক্ষিণ সুরমা উপজেলা) আওয়ামী লীগ নেতা মতিউর রহমান হাতি প্রতীক নিয়ে জয়লাভ করেছেন। তিনি পেয়েছেন ৭০টি ভোট। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী সৈয়দ মকবুল হোসেন টিউবওয়েল প্রতীকে পেয়েছেন ১০টি ভোট।
৩নং ওয়ার্ডে (ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা) আওয়ামী লীগ নেতা নাহিদ হাসান চৌধুরী বৈদ্যুতিক পাখা প্রতীকে ৩৭টি ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোহাম্মদ শাহিদুর রহমান তালা প্রতীক নিয়ে ২৮টি ভোট পেয়েছেন।
৪নং ওয়ার্ডে (বালাগঞ্জ উপজেলা) আওয়ামী লীগ নেতা মো. নাসির উদ্দিন টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে জয়লাভ করেছেন। তিনি পেয়েছেন ৪৬ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী লোকন মিয়া হাতি প্রতীকে পেয়েছেন ২৭ ভোট।
৫নং ওয়ার্ডে (ওসমানীনগর উপজেলা) আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল হামিদ অটোরিকশা প্রতীকে ৪১টি ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পংকজ লাল দাশ পুরকায়স্থ টিউবওয়েল প্রতীকে পেয়েছেন ৪০ ভোট।
৬নং ওয়ার্ডে (বিশ্বনাথ) উপজেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট গিয়াস উদ্দিন আহমদ তালা প্রতীকে ৭০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী সহল আল রাজী চৌধুরী বৈদ্যুতিক পাখা প্রতীকে পেয়েছেন ৩১টি ভোট।
৭নং ওয়ার্ডে (গোলাপগঞ্জ উপজেলা) আওয়ামী লীগ নেতা মো. ফয়জুল ইসলাম ফয়ছল বৈদ্যুতিক পাখা প্রতীকে ৬৯টি ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট এম. মুজিবুর রহমান মুজিব তালা প্রতীকে পেয়েছেন ৩১ ভোট।
৮নং ওয়ার্ডে (বিয়ানীবাজার উপজেলা) মোহাম্মদ খসরুল হক উটপাখি প্রতীকে ৪৭টি ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোহাম্মদ সিহাব উদ্দিন অটোরিকশা প্রতীকে পেয়েছেন ২৪ ভোট।
৯নং ওয়ার্ডে (জৈন্তাপুর উপজেলা) মোহাম্মদ শাহজাহান টিউবওয়েল প্রতীকে ৫৬টি ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. মুহিবুল হক তালা প্রতীকে পেয়েছন ৪৯ ভোট।
১০নং ওয়ার্ডে (গোয়াইনঘাট উপজেলা) আওয়ামী লীগ নেতা সুবাস দাস হাতি প্রতীক নিয়ে জয় লাভ করেছেন। তিনি পেয়েছেন ৬২ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আলিম উদ্দিন ঘুড়ি প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২৪ ভোট।
১১নং ওয়ার্ডে (কোম্পানীগঞ্জ ও গোয়াইনঘাটের আংশিক) আওয়ামী লীগ নেতা আফতাব আলী কালা মিয়া অটোরিকশা প্রতীকে ৭২টি ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শাহ মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন টিউবওয়েল প্রতীকে পেয়েছেন ৪৬টি ভোট।
১২নং ওয়ার্ডে (কানাইঘাট উপজেলা ও জকিগঞ্জের আংশিক) আওয়ামী লীগ নেতা মস্তাক আহমদ পলাশ বিজয়ী হয়েছেন। টিউবওয়েল প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৯১ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. ইমাম উদ্দিন চৌধুরী তালা প্রতীকে পেয়েছেন ২৪ ভোট।
১৩নং ওয়ার্ডে (জকিগঞ্জ উপজেলা) ইফজাল আহমদ চৌধুরী টিউবওয়েল প্রতীকে ৬৫টি ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সিলেট জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমদ বৈদ্যুতিক পাখা প্রতীকে পেয়েছেন ৪৯ ভোট।
এছাড়া সংরক্ষিত ১নং ওয়ার্ডে বই প্রতীক নিয়ে আমাতুজ জাহুরা রওশন জেবীন জয় পেয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ২৫৭ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোছা. ফারজানা রহমান রেনু হরিণ প্রতীকে পেয়েছেন ২৫ ভোট।
সংরক্ষিত ২নং ওয়ার্ডে সুষমা সুলতানা রুহি দোয়াত কলম প্রতীক নিয়ে ১৩১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আফিয়া বেগম হরিণ প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৭৭ ভোট।
সংরক্ষিত ৩নং ওয়ার্ডে হাছিনা বেগম ফুটবল প্রতীক নিয়ে ১৮৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রোমানা আফরোজ মাইক প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৬৫ভোট।
সংরক্ষিত ৪নং ওয়ার্ডে তামান্না আক্তার হেনা দোয়াত কলম প্রতীক নিয়ে ১৮৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোছা. রাহিমা বেগম চম্পা হরিণ প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৭৮ ভোট।
এছাড়া সংরক্ষিত ৫নং ওয়ার্ডে মনিজা আক্তার হরিণ প্রতীক নিয়ে ১৬০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাজনা সুলতানা হক চৌধুরী ফুটবল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৭৫ভোট।