নিজস্ব প্রতিবেদক :: সিলেটে বিএনপি নেতা আ ফ ম কামালকে ব্যবসায়িক বিরোধের জেরে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ।

এ ঘটনায় সন্দেহজনকভাবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ছাত্রদলের এক নেতাকে আটক করা হয়েছে।

সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার আজবাহার আলী শেখ বলেন, নিহত কামাল ট্রাভেল এজেন্সির একজন ব্যবসা ছিলেন। ব্যবসা গঠিত বিষয় নিয়ে সিলেট নগরীর কয়েকজনের সাথে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এর আগে গত ১৫ই অক্টোবর নগরীর জিন্দাবাজার এলাকার আল মারজান শপিং সেন্টারের সামনে কামালের সাথে অন্য পক্ষের হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে।

 

 

ঘটনার পরদিন কামালসহ কয়েকজনকে আসামি করে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন আজিজুর রহমান সম্রাট নামের এক ব্যক্তি। আজিজুর রহমান সম্রাট একই এলাকার বাসিন্দা। তবে আমরা ধারণা করছি, ব্যবসাসংক্রান্ত পূর্ববিরোধের জের ধরে এ ঘটনা ঘটতে পারে।’

 

 

 

এদিকে সিলেট বিএনপির শীর্ষ নেতারা জানান, পুলিশ এই হত্যাকাণ্ডকে পুঁজি করে রাজনৈতিকভাবে চাপ প্রয়োগ করে অন্যদিকে মোড় ফিরিয়ে নিতে চায়। এটা রাজনৈতিক জেরে অবৈধ সরকারদলীয় লোকের দ্বারা খুন করা হয়েছে সেজন্য পুলিশ  এ সুযোগে বিএনপি ছাত্রদল নেতাকর্মীদের  হয়রানি করছে। তাই আমাদের দাবি সুষ্টু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত আসামীকে গ্রেপ্তার করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হয় এই দাবি জানাচ্ছি।

 

 

সিলেটে জেলা বিএনপি নেতা কামাল খুনের ঘটনার জের ধরে ছাত্রদল ও ছাত্রলীগের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

 

 

রোববার (৬ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে সিলেট নগরীর আলিয়া মাদরাসা থেকে রিকাবীবাজারস্থ এলাকায় লাঠিসোটা নিয়ে ছাত্রদল কর্মীরা মিছিল সহকারে যাওয়ার পথে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এসময় তাদেরকে ধাওয়া করলে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে পরে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

 

 

এসময় বেশ কয়েকটি দোকান ও একটি প্রাইভেট কার ভাঙচুর এবং একটি মোটরসাইকেলে আগুনে পুড়ানো হয়।মরদেহ ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে ।

 

এ বিষয়ে ওসি জাকির হোসেন বলেন, ‘আমরা অভিযান চালিয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে রাজু নামের এক ছাত্রদল নেতাকে আটক করেছি। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জড়িত অন্যদেরও গ্রেপ্তারে জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

 

এ ঘটনার প্রতিবাদে রাতে বিক্ষোভ মিছিল করে জেলা ও মহানগর বিএনপি।

 

 

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *