ডায়াল সিলেট ডেস্ক :: সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান বলেছেন, দারিদ্র, অজ্ঞানতা ও পুষ্টি উপকরণের অভাবে দেশের মোট জনসংখ্যার একটি বড় অংশ অপুষ্টির শিকার। এক্ষেত্রে সিলেটের পরিস্থিতি অন্যান্য জেলার চেয়ে খারাপ। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এ অবস্থা থেকে বের হয়ে টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্য অর্জন করতে হবে।
বুধবার বিকেলে জেলা পুষ্টি সমন্বয় কমিটির সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
জেলা প্রশাসক বলেন, খোলাবাজারে বিক্রির চালে পুষ্টি উপাদান দেওয়া হচ্ছে। তবে এর পরিমাণ যাতে সঠিক থাকে সেদিকে নজর রাখতে হবে। তিনি সঠিক কর্মপরিকল্পনাসহ কৃষি বিভাগ, খাদ্য বিভাগ ও মৎস্য বিভাগকে পুষ্টি সচেতনতা গড়ে তোলার ব্যাপারে আরও সচেষ্ট হতে পরামর্শ দেন এবং সবজি চাষের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
শিক্ষার্থীদেরকে সবজি চাষে উদ্বুদ্ধ করতে বীজ উপহার দিতে শিক্ষা বিভাগকে আহ্বান জানিয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, প্রয়োজনীয় পুষ্টি না পেলে নতুন প্রজন্ম শারীরিক ও মানসিক দিক দিয়ে যথাযথভাবে বিকশিত হতে পারবে না।
জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সভায় জেলা পুষ্টি সমন্বয় কমিটির সদস্য সচিব সিভিল সার্জন ডা. এস এম শাহরিয়ার বলেন, উপজেলা পর্যায়ে পুষ্টি বিষয়ে আরও সক্রিয়তা প্রয়োজন। সাধারণ মানুষের কাছে পুষ্টি বার্তা পৌঁছে দিতে হবে। তবে আগের চেয়ে পুষ্টি পরিস্থিতি উন্নত হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
সভায় দেশের ও সিলেটের তুলনামূলক পুষ্টিচিত্র তুলে ধরেন সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিক্যাল অফিসার ডা. স্বপ্নীল সৌরভ রায়। এতে অধিক জনসংখ্যা, চা শ্রমিক গোষ্ঠীর পুষ্টি সংকট, ছোট মাছ ও শাকসবজির প্রতি অনীহা, অকাল বন্যায় সবজি চাষে বিঘ্ন ঘটা ও সচেতনতার অভাবকে পুষ্টি ক্ষেত্রে সিলেটের পিছিয়ে থাকার জন্যে দায়ী করা হয়।
আলোচনায় অংশ নেন মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপপরিচালক শাহিনা আক্তার, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আল আজাদ, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ইকবাল সিদ্দিকী এবং জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের প্রতিনিধিরা।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *