সিলেটে প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী

ডায়াল সিলেট ডেস্ক :: প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ এমপি বলেছেন, চলতি বছর নতুন করে ১৫ লাখ লোক বিদেশে পাঠানোর প্রত্যাশা করছে সরকার। আমাদের শ্রম বাজার সম্প্রসারিত হচ্ছে। এতে বাড়বে প্রবাসী আয়। চায়নায় বড় শ্রম বাজার সৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়া রোমানিয়া, গ্রিস, ইটালিতে এখন মানুষ যাচ্ছে। লিবিয়াতেও লোক পাঠানোর চেষ্টা চলছে।
মন্ত্রী বলেন, দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীরা কাজের ফাউন্ডেশন তৈরি করেন। অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে দেশ গড়ার কাজ করতে হবে। দেশের স্বাধীনতার জন্য ৩০ লাখ লোক রক্ত দিয়েছেন। আমরা ৩০ লাখ লোকের রক্তের ঋণের ওপর দাঁড়িয়ে আছি। আমাদেরকে রক্তের এই ঋণ পরিশোধ করতে হবে।
শুক্রবার নগরীর মির্জাজাঙ্গালস্থ একটি অভিজাত হোটেলের কনফারেন্স হলে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর ডিপ্লোমা প্রকৌশলী সমিতি সিলেট, চট্টগ্রাম ও কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার সরকার কর্মজীবনে যা দিয়েছেন তা আপনাদের হিসাব আছে। ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে বিশ্বে জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। আমাদের দেশেও দাম বেড়েছে, কিন্তু খাদ্যের দাম নাগালের বাইরে যায়নি। এটিকে আরও সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসার জন্য সরকার কাজ করছে। কারিগরি শিক্ষায় দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে হবে, এ জন্য স্কিলড্ ডেভেলপমেন্ট প্রয়োজন।
এসময় মন্ত্রী দক্ষতা অর্জন করে ও নিয়ম মেনে বিদেশে যাওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমাদের দেশের লোকেরা বিদেশে যে কাজে যায় সেখানে গিয়ে তা ছেড়ে দেয়। এতে করে দেশের সম্মান ক্ষুণ্ন হয়।
শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর ডিপ্লোমা প্রকৌশলী সমিতির সহ-সভাপতি (সিলেট) মো. উজ্জ্বল বখতের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. দেলোয়ার হোসেন মজুমদার, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের যুগ্ম-সচিব (উন্নয়ন-২) সরোজ কুমার নাথ, ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি) কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. শামসুর রহমান, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর ডিপ্লোমা প্রকৌশলী সমিতি কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সভাপতি মো. সিরাজুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মো. জাফর আলী সিকদার।
শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর ডিপ্লোমা প্রকৌশলী সমিতির সহ-সভাপতি (চট্টগ্রাম) সত্যব্রত দাম চৌধুরী।
অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। এরপর পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন হাবিবুর রহমান, গীতা পাঠ করেন উজ্জ্বল কুমার রায় ও ত্রিপিঠক পাঠ করেন দয়ার কান্তি চাকমা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথিসহ বিশেষ অতিথিদের সম্মাননা ক্রেস্ট ও ফুল দিয়ে বরণ করা হয়। দ্বিতীয় পর্বে অনুষ্ঠিত হয় সাংগঠনিক সভা এবং সবশেষে অনুষ্ঠিত হয় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *