ডায়াল সিলেট ডেস্ক :: এর আগে এ বাড়ির দুই সদস্যকে শনিবার (৭ জানুয়ারি) রাতে সিলেট মহানগরের এয়ারপোর্ট থানাধীন পীর মহল্লার একটি বাসা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এদের দেওয়া তথ্যমতেই রোববার তাদের আটঘরস্থ গ্রামের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি সূত্র সিলেটভিউ-কে নিশ্চিত করেছে। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো তথ্য বা বক্তব্য দেওয়া হয়নি।রোববার (৮ জানুয়ারি) সকাল থেকে উপজেলার আশারকান্দি ইউনিয়নের ফেচির বাজারের দিঘলবাক গ্রামের মৃত আব্দুস সমিরের ছেলে আখলাকুর রহমানের বাড়িটি ঘিরে রাখে জগন্নাথপুর থানা পুলিশ। পরে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে বোম ডিসপোজাল ইউনিট, স্পেশাল অ্যাকশন গ্রুপ, ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি), অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট ও সেনাবাহিনীর বিশেষজ্ঞ টিম এসে অভিযান পরিচালনা করে। সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার আশারকান্দি ইউনিয়নের ফেচি আটঘর গ্রামে রোববার ৮ জানুয়ারি দিনভর অভিযান চালিয়ে বিস্ফোরক তৈরির বিপুল পরিমাণ সরঞ্জাম, বিস্ফোরক পাউডার ও বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস জব্দ করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।গ্রেফতারকৃতরা হলেন- ফেচি আটঘর গ্রামের আখলাকুর রহমান (৭০) ও তার ছেলে আমজাদুর রহমান (২০)। শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে মহানগরের পীর মহল্লার ঐক্যতান ৯/১১ বাসা থেকে জগন্নাথপুর থানার একদল পুলিশ সিলেট এয়ারপোর্ট থানাধীন আম্বরখানা ফাঁড়িপুলিশের সহায়তায় তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ বাসায় তারা ভাড়া থাকতেন।
জানা যায়, সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঘিরে রাখা বাড়ি থেকে বিস্ফোরক তৈরির বিপুল পরিমাণ সরঞ্জাম ও অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এসময় বাড়ি থেকে কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।অভিযানে একটি রিভলবার, একটি ল্যাপটপ, ৯টি মোবাইল ফোন, বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক তৈরির সরঞ্জাম ও পাউডার, দুইটি ওয়াকিটকি সাদৃশ্য বস্তু ও বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ডিভাইসসহ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
দিনভর অভিযান শেষে বিকেল সোয়া ৫টায় প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব উদ্ধারের তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও মিডিয়া) রিপন কুমার মোদক। উদ্ধার পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান তিনি।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৬ জানুয়ারি জগন্নাথপুর থানার এএসআই মোহাম্মদ নুরে আলম সিদ্দিক নন-এফআইআর মামলা নং-১১৪/২০২২ ও ৩৭৬/২০২২ এর আসামি আফজাল হোসেনকে (৩৫) আদালতের ইস্যুকৃত সমন জারি করতে আসামির বাড়িতে গেলে আসামি পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে দৌঁড়ে পালিয়ে যান তিনি। তখন আসামির বসতঘরের কয়েকটি কক্ষে বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ডিভাইস, সাদা পাউডার ও যন্ত্রপাতি দেখতে পান ওই পুলিশ সদস্য। বিষয়টি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করার পর বাড়িটি নজরদারিতে রাখা হয় এবং রোববার অভিযান পরিচালনা করে এসব বিস্ফোরক তৈরির সরঞ্জাম ও অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *