ডায়াল সিলেট ডেস্ক    মৌলভীবাজারের জুড়ী থানায় মৃত্যুর ৩ মাস পর ক্লু-লেস একটি হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

ভিকটিম শাহানা বেগমকে পানিতে ডুবিয়ে হত্যার দায়ে তার প্রেমিক ১। লালন পাশী এবং দুলাভাই ২। উজির মিয়া @ লালুকে গ্রেফতারপূর্বক বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। আসামি ১। লালন পাশী এই হত্যাকাণ্ডে নিজের দোষ স্বীকার করে বিজ্ঞ আদালতে ১৬৪ জবানবন্দি প্রদান করেছেন।

জুড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মোশাররফ হোসেন জানান, গত বছরের ২৬ শে অক্টোবর জুড়ী থানাধীন শিলুয়া চা বাগানের জনৈক আরমান আলীর মেয়ে শাহানা বেগম(২৬) বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন। নিখোঁজের তিনদিন পর ২৯ অক্টোবর ২০২২ তারিখ বাংলাদেশ ভারত সীমান্তবর্তী জুড়ি থানাধীন তালগাং নদীতে নিখোঁজ শাহানা বেগমের অর্ধ গলিত লাশ পাওয়া যায়।  ভিকটিমের বাবা লাশ শনাক্তের পর সেসময় ভিকটিমের বাবার অভিযোগের প্রেক্ষিতে জুড়ী থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা রুজু করা হয়।

শাহানার মৃত্যুর ঘটনাকে হত্যাকাণ্ড হিসেবে আমলে নিয়ে জুড়ী থানা পুলিশ তদন্ত শুরু করে। হত্যাকাণ্ডের  তিন মাস পর তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় মামলার মূল রহস্য উদঘাটিত হয়।

মামলাটির তদন্তকারী অফিসার এসআই সিরাজুল ইসলাম জানান, নিহত শাহানার ৬ বছর আগে জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার পাত্রখোলা চা বাগানের মোঃ সিরাজ মিয়ার সাথে বিয়ে হয়। স্বামী মানসিক ভারসাম্যহীন হওয়ায় বিয়ের তিন মাসের মধ্যেই বাবার বাড়িতে ফিরে আসে শাহানা। বাবার বাড়ীতে অবস্থানকালে শাহানার সাথে একই বাগানের হিন্দুধর্মের যুবক লালনপাশীর সাথে গত দুই বছর ধরে শাহানার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রেমের সম্পর্কের একপর্যায়ে বেশ কয়েকবার তাদের শারীরিক সম্পর্কও হয়। তাদের সম্পর্কের বিষয়টি এলাকাবাসীসহ তার দুলাভাই জানতে পেরে তাদের প্রতি ক্ষিপ্ত হন। অন্যদিকে ভিকটিম শাহানার সাথে তার দুলাভাই উজির মিয়াও জোরপূর্বক শারীরিক মেলামেশার চেষ্টা করে। শারীরিক সম্পর্ক গড়তে ব্যর্থ হয়ে প্রেমিক লালনের সহায়তায় তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে। হত্যার পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রেমিক লালনপাশী ও দুলাভাই উজির মিয়া ঘটনার দিন মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে শহানাকে পানিতে ডুবিয়ে হত্যা করে। হত্যার পর প্রেমিককে কাউকে কিছু না জানানোর জন্য বলে উজির মিয়া।

আজ বিকেলে বিজ্ঞ আদালতে ১ নং আসামি লালন পাশী ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *