মনজু বিজয় চৌধুরী॥ শ্রীমঙ্গলের কালাপুরে চাঁদা না দেওয়ায় ইউপি সদস্য এর হামলায় মহিলার সহ তিন জন আহত হয়েছেন। এসময় তাদের বাড়ি ভাংচুরসহ টাকা ও মালামাল লুট পাট হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।এব্যাপারে শ্রীমঙ্গল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। রবিবার দক্ষিন কালাপুর গ্রামের মৃত আব্দুল্লাহ ছেলে সুমন মিয়ার (৩০) বাড়িতে এ হামলার ঘটনা ঘটে। মামলার অভিযোগে জানা যায়, সুমন মিয়া তার বাড়ির উঠান মাটি ভরাট করার জন্য নিজ জমি থেকে মাটি নিয়ে আসার সময় কালাপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আওলাদ মিয়া, তার ভাই কালা মিয়া (৩৮), মোস্তফা মিয়া(৪৮), লেবু মিয়া(৪৮), রুপ মিয়া(৫৫), ও তার সংঙ্গী তোফায়েল মিয়া(২০), শাহান মিয়া(১৯) জয়নাল মিয়া(২১) এক লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে।চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে মাটি উঠানে ফেলতে বাধাঁ দেন।  এক পর্যায়ে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে সুমন মিয়ার উপর হামলা চালান। তার হামলায় সুমন মিয়া মারাতœক ভাবে আহত হন। তার সঙ্গীরা এসময় সুমনের ঘর ভাংঙ্গচুর করে এবং টাকা পয়সা নিয়ে যায়। তাদের হামলায় আংগুরা বেগম(১৮), ইউনুছ মিয়া(৭৫) গুরত্বর আহত হন। পরে ৯৯৯ নাম্বারে ফোন করে তাদের কবল থেকে সুমন মিয়ার পরিবার রক্ষা পায়। অনুসন্ধানে জানা যায়, আওলাদ মিয়া ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সভাপতি ছিলেন। ২০১৩ সালে কালাপুর বাজারে পেট্রোল বোমা হামালায় জড়িত ছিলেন। পরে গ্রেফতার হয়ে ৩ মাস জেল কেটে বের হন। মাদক ব্যবসার সাথে তার সম্পৃক্তা আছে। এব্যাপারে ও তাকে জেলে যেতে হয়েছে। কালাপুর বাজারে সাফিয়া বেকারীতে শ্রীমঙ্গলের এসিল্যান্ড  কে ৫০ হাজার টাকা দিতে হবে বলে চাঁদা চান। এ ঘটনায় শ্রীমঙ্গল থানায় একটি জিডি হয়। জিডি নং-৩৪৫, তারিখ: ৭-৮-২২ ইং। আওলাদ মেম্বার কালাপুর এলাকার ত্রাস বলে এলাকার অনেকে মন্তব্য করেন। এব্যাপারে শ্রীমঙ্গল থানার অফিসার ইনচার্জ,মোঃ জাহাঙ্গীর সরদার বলেন,ভুক্তভোগীরা শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশের কাছ থেকে টুকু আইনি সহায়তা পাওয়ার প্রয়োজন আহত পরিবার পাবে বলে নিশ্চিত করেন। এবং হামলাকারী যেই হোন না কেন তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *