ডায়াল সিলেট ডেস্ক ॥ মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলার জায়ফরনগর ইউনিয়নের গরেরগাঁও হতে রাবার ড্যাম পর্যন্ত পাকা সড়কের গরেরগাঁও অংশে বিশাল নদীভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙনের ফলে জুড়ী নদীতে পুরো সড়কটি বিলীন হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। সড়কে ভাঙন দেখা দেওয়ায় এ সড়কে চলাচলকারী হাজার হাজার সাধারণ মানুষের যাতায়াত এখন বন্ধের পথে। গত দুইদিন ধরে এ সড়কে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে এ সড়কটির ভাঙন দ্রুত মেরামত করতে তাৎক্ষণিক নির্দেশনা দিয়েছেন পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন এমপি।
সরেজমিনে বুধবার দুপুরে গিয়ে দেখা যায়, এ সড়কের গরেরগাঁও অংশের ভাঙন বিশাল আকার ধারণ করেছে। এলাকাবাসী বড় ধরণের ঝুঁকি ও দুর্ঘটনা এড়াতে বাঁশের বেড়া দিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন। সাধারণ মানুষ ও খুদে শিক্ষার্থীরা উপরের একটু ভালো অংশ দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে কোনোমতে চলাচল করছেন। সময়ের সাথে সাথে ভাঙন বাড়ায় আশপাশের বেশ কিছু দোকানপাট ও বসতভিটা ঝুঁকিতে রয়েছে।
জানা যায়, সড়কে গরেরগাঁও, বেলাগাঁও ও সোনাপুর গ্রামের হাজারও মানুষসহ এশিয়ার বৃহত্তম হাকালুকি হাওরে চলাচলকারী পর্যটক ও কৃষকদের সুবিধার কথা চিন্তা করে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন সড়কটি পাকা করে দেন। কিন্তু হঠাৎ করে গত শনিবার সড়কের গরেরগাঁও অংশে সামান্য ভাঙন দেখা দেয়। এরপর থেকে ধীরে ধীরে ভাঙন বেড়ে গিয়ে বিশাল আকার ধারণ করেছে। দ্রুত সড়কটিকে রক্ষায় কাজ না করা গেলে যেকোনো সময় বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। বর্তমানে দুর্ঘটনা ও সড়কটি বিলীনের আশঙ্কায় গ্রামবাসী আতঙ্কে আছেন। সড়কটি দ্রুত রক্ষা করা না গেলে হাকালুকি হাওরের কৃষকদের কৃষিপণ্য পরিবহন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হবে।
আলাপকালে স্থানীয় বাসিন্দা ফারুক মিয়া ও সাইফুর রহমান বলেন, এ সড়কে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ চলাচল করে। সড়কটিতে ভাঙন দেখা দেওয়ায় মানুষের চলাচলের পাশাপাশি দোকানপাট ও বাড়িঘর হুমকির মুখে পড়েছে। দ্রুত সড়কটি মেরামত করা না হলে যেকোনো সময় বড় ধরণের দুর্ঘটনা করতে পারে।
উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রিংকু রঞ্জন দাস বলেন, সড়কটি দ্রুত মেরামতের বিষয়ে পরিবেশমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছেন। দ্রুত সময়ের মধ্যে এটির সংস্কারকাজ শুরু হবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড মৌলভীবাজারের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. জসিম উদ্দিন বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে ভাঙনকবলিত জায়গাটি পরিদর্শন করেছি। এটি রক্ষায় উদ্যোগ নেওয়া হবে।
সড়কটি ভাঙনের বিষয়ে মুঠোফোনে উপজেলা প্রকৌশলী ননী গোপাল দাস বলেন, ইতোমধ্যে বেশ কয়েকবার সড়কটি পরিদর্শন করেছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে সড়কটি মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হবে।