ডায়াল সিলেট রিপোর্ট :: বাবা-মা হত্যার দায়ে সিলেটে আতিকুর রহমান রাহেল (৩৬) নামে এক ব্যক্তিকে ফাঁসির রায় দিয়েছেন আদালত।মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি রায়ে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
বৃহস্পতিবার সিলেটের দায়রা জজ আদালতে সিনিয়র বিচারক মশিউর রহমান চৌধুরী এ রায় দেন। রাহেল সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার সুনামপুর গ্রামের আবদুল করিম খান ওরফে ঠাকুর মনার ছেলে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) নিজাম উদ্দিন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ২০২০ সালের ২৭ মার্চ সিলেটের গোলাপগঞ্জে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে বাবা আবদুল করিম খান (৬০) ও মা মিনারা বেগমকে (৪৫) কোদাল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন রাহেল। এ ঘটনায় তার ভাই দেলোয়ার হোসেন বাদী হয়ে গোলাপগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন।
পরদিন ২৮ মার্চ গোলাপগঞ্জ থানা পুলিশ অভিযুক্ত আতিককে গ্রেফতার করে। এরপর ধারাবাহিক বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে রায়ের তারিখ ঘোষণা করেন সিলেট জেলা দায়রা জজ আদালতের বিচারক।
অ্যাডভোকেট নিজাম উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘সকল সাক্ষ্য প্রমাণে আতিকুর রহমান দোষী সাব্যস্ত হওয়ার আদালত মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন।’
তবে রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আবেদন করবেন বলে জানান আসামি পক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন।
২০২০ সালের ২৭ মার্চ সকালে গোলাপগঞ্জ উপজেলার ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়নের সুনামপুর গ্রামে আবদুল করিম খানের ছেলে রাহেল আহমদ বাড়ির সামনে গাছ কাটতে গেলে তার বাবা করিম খান ও তার মা মিনারা বেগম বাঁধা দেন। এ সময় তাদের সঙ্গে ছেলের বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে রাহেল উত্তেজিত হয়ে হাতে থাকা কোদাল ও দা দিয়ে বাবা ও মায়ের উপর হামলা করেন।
এ সময় স্থানীয়রা তাদের চিৎকার শোনে এগিয়ে এলে রাহেল পালিয়ে যান। তবে তার হামলায় ঘটনাস্থলেই বাবা আবদুল করিম নিহত হন। স্থানীয়রা তার মা মিনারা বেগমকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসা নিয়ে কিছুটা সুস্থ হলে মিনারা বাড়ি ফিরেন। পরে হঠাৎ আবার শরীরিক অবস্থার অবনতি হলে স্থানীয় গোলাপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।