ডায়াল সিলেট ডেস্ক :  মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার গাজিপুর চা-বাগানে শ্রমিক গৃহ নির্মাণের নামে টিলাকাটার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত এক সপ্তাহ থেকে এমন কাজটি করছে বাগান কর্তৃপক্ষ। পরিবেশ অধিদপ্তর বা স্থানীয় প্রশাসন এ ব্যাপারে কোন কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না।

স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, বাগান কর্তৃপক্ষের অগোচরেই এমন কাজ করেছেন বাগান পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি অশোক কুমার গোয়ালা বাবলু এবং বাগান হাসপাতালের ড্রেসার দ্বীপ নারায়ণ গোয়ালা। গাজিপুর চা-বাগান মেইন ফটকের উত্তর পাশে স্টাফ কোয়ার্টারের পূর্বে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ১০-১২ জন বাগান শ্রমিক টিলা কাটার কাজ করছেন। আলাপকালে মাটি কাটায় নিয়োজিত শ্রমিকরা জানান, এখানে শ্রমিক গৃহ নির্মাণ করা হবে। যার কারণে বাগান পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি অশোক কুমার গোয়ালা বাবলু এবং বাগান হাসপাতালের ড্রেসার দ্বীপ নারায়ণ গোয়ালা তাদেরকে দিয়ে কাজটি করাচ্ছেন। স্থানীয় লোকজন জানান, গত এক সপ্তাহ ধরে ১০-১২ জন শ্রমিক দিয়ে টিলা কাটা হলেও কেউ বাঁধা দেয়নি। স্থানীয় কিছু লোক মৌখিকভাবে বাঁধা দিলেও কোনো কাজ হয়নি। সমতল ভূমিতে পরিণত করা হচ্ছে টিলাটিকে।

বাগানের কয়েকজন শ্রমিক (নাম প্রকাশ না করার শর্তে) জানান, যাঁরা মাটি কাটাচ্ছেন, তাঁরা বাগানের প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ কোন প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছেন না। এ বিষয়ে গাজিপুর চা-বাগান হাসপাতালের ড্রেসার দ্বীপ নারায়ণ গোয়ালা জানান, আমার ছোট ভাই জায়গাটি বাগান সভাপতি বাবলু গোয়ালার কাছ থেকে নিয়েছে। তাই সভাপতির অনুমতি নিয়েই টিলাটি একটু ড্রেসিং করে নিচ্ছি। যাতে ঘর বানিয়ে বসবাস করা যায়। এখন বাগান ম্যানেজমেন্ট আপত্তি করায় কাজ বন্ধ রয়েছে।  এ বিষয়ে গাজিপুর চা-বাগান পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি অশোক কুমার গোয়ালা বাবলু জানান, শ্রমিকের ঘর তৈরি করার জন্য টিলা ড্রেসিং করা হচ্ছে। অনুমতির বিষয়ে তিনি বলেন, এরকমতো অহরহ ঘর হচ্ছে, কেউতো কোনদিন অনুমতি নেয়নি। এবিষয়ে গাজিপুর চা-বাগানের সহকারী ব্যবস্থাপক জাবের আলী জানান, টিলা কাটা আইনত দন্ডনীয় অপরাধ, সেটা আমরাও জানি। বাগান কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে তারা দুঃসাহসিক কাজটি করে। আমরা খবর পেয়ে সাথে সাথে কাজটি বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছি এবং তাদেরকে শোকজ করেছি।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *