স্পোর্টস ডেস্ক :: প্রায় একই সময়ে বাংলাদেশ সফরে আসবে তিন দেশের ক্রিকেটাররা। কেউ খেলবেন জাতীয় পুরুষ দলের সঙ্গে। কারও প্রতিপক্ষ জাতীয় নারী ক্রিকেট দল। এক দল খেলবে যুব ক্রিকেটারদের বিপক্ষে। ঈদের পরপরই তাই ব্যস্ত সূচি থাকবে ক্রিকেটাঙ্গনে।
ঈদের একদিন পর বাংলাদেশে পা রাখবে আফগানিস্তান জাতীয় ক্রিকেট দল। দ্বিপক্ষীয় সিরিজের তিনটি ওয়ানডে ও দুইটি টি-টোয়েন্টি খেলতে রশিদ খান, মোহাম্মদ নবীরা বাংলাদেশে আসবে। এর আগে একটি টেস্ট খেলে সংযুক্ত আরব আমিরাত ফিরে গিয়েছিল তারা। সেখানে ক্যাম্প সেরেছে আফগানিস্তানের ক্রিকেটাররা। সিরিজ শেষ করতে দ্বিতীয়বার তারা বাংলাদেশে আসছেন।
চট্টগ্রামে হবে ওয়ানডে সিরিজ। সিলেটে টি-টোয়েন্টি। ৫, ৮ ও ১১ জুলাই চট্টগ্রামে ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে। সিলেটে দুটি ম্যাচ হবে ১৪ ও ১৬ জুলাই।
আইসিসি ওমেন্স চ্যাম্পিয়নশিপের ২০২২-২০২৫ চক্রের ম্যাচ খেলতেই ভারত প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ সফরে আসবে। ৬ জুলাই ভারতের মেয়েরা বাংলাদেশে পা রাখবেন। ৯, ১১ ও ১৩ জুলাই তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। ওয়ানডেগুলো হবে যথাক্রমে ১৬, ১৯ ও ২২ জুলাই। সবগুলি ম্যাচ হবে মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। ১১ বছর পর বাংলাদেশের মেয়েরা মিরপুরে ম্যাচ খেলতে যাচ্ছে। এজন্য বেশ রোমাঞ্চিত জ্যোতি, লতা মণ্ডলরা।
ভারতের নারীদের আগেই বাংলাদেশে এসে পৌঁছবে দক্ষিণ আফ্রিকা যুব দল। পাঁচ ওয়ানডে খেলতে আগামী ৩ জুলাই বাংলাদেশে আসবে দক্ষিণ আফ্রিকার যুবারা। খেলা হবে খুলনা ও রাজশাহীতে। খুলনায় তিনটি ও রাজশাহীতে দুইটি ম্যাচ খেলবে দুই দল।
অতিথিরা বাংলাদেশে পা রেখে সেদিনই চলে যাবেন খুলনায়। ৪ ও ৫ জুলাই অনুশীলনের পর ৬ জুলাই প্রথম ওয়ানডে খেলবে দুই দল। এই ম্যাচ দিয়ে বহুদিন পর প্রতিদ্বন্দ্বীতামূলক ক্রিকেট ফিরবে খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে। ৯ ও ১১ জুলাই একই মাঠে অনুষ্ঠিত হবে পরের দুই ওয়ানডে।
১২ জুলাই দুই দল একসঙ্গে রাজশাহী ভ্রমণ করবে। সেখানে শেষ দুই ওয়ানডে হবে ১৪ ও ১৭ জুলাই। প্রোটিয়া যুবাদের ষোলোদিনের সফর শেষ হবে ১৮ জুলাই।
মহাদেশীয় কিংবা বৈশ্বিক আসর বাদে ক্রিকেটে এতোটা জমাট সূচি কখনোই ছিল না দেশের ক্রিকেটে। এবার নতুন অভিজ্ঞতা হতে যাচ্ছে আয়োজকদেরও।